দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: দুর্গাপুজো নিয়ে আনন্দের মধ্যেই বিষাদের সুর মন্দ্রীত বেলভিউ হাসপাতালে। বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। সূত্রের খবর করোনা যুদ্ধে জয়ী হলেও অভিনেতার স্নায়ুজনিত সমস্যা ক্রমেই বাড়ছে আর যা চিন্তাতে ফেলেছে চিকিত্সকদের।
গত বেশ কয়েকদিন ধরে শারীরিক পরিস্থিতি উন্নতির দিকে এগোলেও মঙ্গলবার রাতে ফের পরিস্থিতি বিগড়ে যায়। উল্লেখ্য, গত ৬’ই অক্টোবর থেকে বেলেভিউ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সৌমিত্রবাবু। হাসপাতাল সূত্রে যা খবর, তাতে স্টেরয়েডের ডোজ কমানোর পরই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের আচ্ছন্ন ভাব নাকি বেড়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই প্রবীণ অভিনেতার মস্তিষ্কের চেতনাও আগের থেকে যথেষ্ট কমে গিয়েছে।
তবে এই হতাশার মাঝেও আশার আলো এই যে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করছে। এমনকি ওনার শরীরে নতুন করে কোনও সংক্রমণ নেই। হার্ট, কিডনি, লিভার- সবই সঠিকভাবে কাজ করছে। ‘ক্ষিদ্দা’র শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে, মঙ্গলবার থেকে ফের স্টেরয়েডের ডোজ বাড়ানো হয়েছে।
সৌমিত্র বাবুর যে সমস্যা হচ্ছে তাকে ডাক্তারী পরিভাষাতে বলে এনসেফেলোপ্যাথি। এই সমস্যা নিয়ে দেশ-বিদেশের নামী নিউরো সার্জেনদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে নিয়মিত। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের চিকিত্সার মূল দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল দলের প্রধান অরিন্দম কর দু-দিন আগে জানান ‘আমাদের একমাত্র সমস্যা এনসেফেলোপ্যাথি। এটার অর্থ হল মস্তিষ্কের (কাজ) এবং চেতনার (মাত্রা) সঠিক নেই। আমরা যে উন্নতি লক্ষ্য করেছিলাম, এখন তা নেই। আমাদের আশা, ইমিউনোগ্লোবিন এবং স্টেরয়েডের মাধ্যমে ওনার শারিরীক পরিস্থিতির উন্নতি করা সম্ভব। এনসেফেলোপ্যাথির স্থায়িত্ব নিয়ে আমাদের সকলের উদ্বেগ আছে। আমরা নিশ্চিত নয় যে তাঁর কতদিন চিকিৎসার প্রয়োজন আছে এবং কত দ্রুত তিনি স্বাভাবিকত্বের দিকে ফিরবেন। আরও কয়েকটি বিকল্প নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছি আমরা।’
অন্যদিকে হাসপাতাল থেকে কর্মী বা সংবাদ মাধ্যমের কোনও কর্মীর মাধ্যমে সৌমিত্র বাবুর বেশ কিছু ছবি ফাঁস হয়ে যাওয়াতে সোশ্যাল মিডিয়া ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন সৌমিত্র কন্যা পৌলমী বসু এবং তাঁর গুণমুগ্ধ ভক্তরা। আক্ষেপের সুরে বলেন পৌলমী- ‘শিল্পীর ব্যক্তিগত স্বাধীনতা টুকু বজায় থাকুক অন্তত এইটুকু সম্মান তাঁর প্রাপ্য।’