দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: আজ মহা সপ্তমী। ঢাঁকে কাঠি পড়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। সকাল থেকেই আকাশে কালো মেঘের ভীর। ঝিরঝির বৃষ্টি পড়ছে।এরই মাঝে চলছে মহা সপ্তমীর মহাপুজো।এবারের পুজো স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সম্পন্ন হচ্ছে। নিউ নর্মাল পুজো। করোনার কারনে সেভাবে প্যান্ডেল হপিং না হলেও হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী অল্পস্বল্প ভীর জমেছে পুজো মণ্ডপগুলিতে। নতুন জামার সাথে নতুন নতুন ম্যাচিং মাস্ক হলো এবারের পুজোর ট্রেন্ড। উওর থেকে দক্ষিন পুজো চলছে নিয়ম এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনেই। তবে অন্যবারের মতোই প্যান্ডেলের সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলার হিড়িক চললেও তবে তা পুরোটাই করোনা বিধি মেনে চলছে।
পুজোয় অষ্টমী পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সংকেত দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। ইতিমধ্যে মৎসজীবীদের ও সমুদ্রে যেতে বারন করা হয়েছিল। পুজোয় মণ্ডপের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কথা মাথায় রেখে পুজো উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে কলকাতা-সহ ৭ জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের সতর্ক করেছিল নবান্ন। কিন্তু সপ্তমীর সকাল থেকেই ভোল পাল্টেছে আবহাওয়া। সকাল থেকেই আকাশ পরিষ্কার। তাই হাসি ফুটেছে উদ্যোক্তা সহ ভ্রমণ প্রিয় বাঙালীর। পুজোও চলছে নিয়মনীতি মেনে।
আজ অর্থাৎ শুক্রবার আলিপুর আবহওয়া দফতর জানিয়েছেন, গভীর নিম্নচাপের প্রভাব এ রাজ্যে আর পড়বে না। আজ দুপুরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে নিম্নচাপটি। এবং ক্রমে শক্তিও হারাবে। তার জেরে উপকূল লাগোয়া জেলাগুলিতে বৃষ্টি হলেও, কলকাতায় তেমন প্রভাব পড়বে না।
তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, সপ্তমীর দিন শহরে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ঝোড়ো হাওয়া বওয়ার সম্ভাবনা ও রয়েছে।এবং এই ঝড়ো হাওয়ার দরূন পুজো মণ্ডপ গুলির ক্ষয় ক্ষতিরও আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তবে হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে এই বিপর্যয়ের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া দফতর।এই খবরে খুশি ভ্রমণ প্রিয় বাঙালী।