দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: করোনা আবহে চলছেনা লোকাল ট্রেন। কলকাতা থেকে জেলা সর্বত্রই লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে স্টেশনে স্টেশনে বিক্ষোভ। এরি মধ্যে শুক্রবারের বিক্ষোভের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ধন্ধুমার কাণ্ড শনিবারেও। আজ সন্ধ্যাতে হাওড়া স্টেশনে যাত্রী বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল। স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে উঠতে না দেওয়ায় এদিনও ক্ষোভে ফেটে পড়ে যাত্রীরা।
গতকালের মত এদিনও হাওড়া স্টেশনে ঢোকার মুখেই আটকে দেওয়া হয় যাত্রীদের। বন্ধ করে দেওয়া হয় স্টেশনে ঢোকার গেট। ব্যারিকেড করে যাত্রীদের আটকানোর চেষ্টা করে রেল পুলিশও। এরপরই পুলিশের ব্যারিকেড টপকে জোর করে স্টেশনে ঢুকতে গেলে জিআরপি ও আরপিএফ কর্মীদের সঙ্গে বচসা বেধে যায় সাধরণ যাত্রীদের। রেল পুলিশের সাথে যাত্রীদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে হাওড়া স্টেশন চত্বর রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। এরপরই পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দীর্ঘদিন (প্রায় ৮ মাস) বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেন চলাচল। ফলে লোকাল ট্রেনের উপর ভরসা করে যে সমস্ত যাত্রীরা কলকাতা ও শহরতলিতে কাজে আসেন এই ঘটনায় তারা চরম সমস্যায় পড়েছেন। এই সমস্ত যাত্রীরাই স্টাফ ট্রেনে জোর করে উঠে পড়ছেন বলে অভিযোগ রেল আধিকারিকদের। এই সমস্ত যাত্রীদের স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে উঠতে না দিলেই হচ্ছে যাত্রী বিক্ষোভ।
রেল পুলিশের তরফে দেওয়া এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে যে স্টাফ ট্রেনে কাউকে উঠতে দেওয়া যাবে না। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীদের দাবি, স্পেশাল ট্রেন যাত্রীদের জন্য চালানো হোক। রেল কর্তৃপক্ষের দাবি স্টাফ স্পেশাল ট্রেন শুধুমাত্র রেলকর্মীদের জন্যই চালানো হচ্ছে। সেখানে সাধারণ যাত্রীদের ওঠার অনুমতি নেই।
উল্লেখ্য, এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যাতেও হাওড়া স্টেশনে স্টাফ স্পেশাল পেট্রোলিং ট্রেন ধরতে এলে বাধা দেয় আরপিএফ। হাওড়া স্টেশনের ক্যাব রোডের মুখেই যাত্রীদের আটকে দেওয়া হয়। প্ল্যাটফর্মে ঢুকতে না পেরে স্টেশন চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন যাত্রীরা। যাত্রী বিক্ষোভের জেরে উত্তেজনা ছড়ালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরপিএফ মৃদু লাঠিচার্জ করে যাত্রীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।