দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু করতে চেয়ে নবান্নে বৈঠকে বসলেন রাজ্য এবং রেলের প্রতিনিধিরা। রেলের ‘স্টাফ স্পেশ্যাল’ ট্রেনে উঠতে চেয়ে প্রতিদিনই বিভিন্ন স্টেশনে বিক্ষোভ চলেছে। আজ, সোমবারও বৈদ্যবাটি, রিষড়া, শেওড়াফুলিতেও ক্ষোভে ফেটে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লোকাল ট্রেন চালাতে চায় রাজ্য এবং রেল।
পরিষেবা শুরু করতে চেয়ে গত শনিবারই রাজ্যের তরফে রেলকে চিঠি দিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তার আগেই অবশ্য রেলও রাজ্যকে চিঠি দিয়েছিল। অবশেষে শুরু আলোচনা। রেল মহারাষ্ট্র মডেলে রেল চালাবে। সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে যাঁরা কাজ করেন, তারাই অগ্রাধিকার পাবেন। ১০% লোকাল ট্রেন চলবে, কালী পুজোর পর ২৫% লোকাল ট্রেন চলবে। এর পর পরিস্থিতি বুঝে লোকাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
এক রেল কর্তা সূত্রে খবর হাওড়া, শিয়ালদহ ও খড়গপুর ডিভিশনে এই লোকাল ট্রেন চালু হবে। এই স্টেশনে আগে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করতেন। লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু হলে, কী ভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, সে বিষয়ে রাজ্যের সঙ্গেই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। রেলের তরফে সম্পুর্ণ পরিকাঠাম সাজাতে কিছুটা সময় লাগবে তাই ১০% ট্রেন চালানোর ভাবনা, এছাড়া রেলের সব রকমের প্রস্তুতি রয়েছে বলেই জানিয়েছেন ওই অধিকর্তা। তিনি এও বলেছেন পরিষেবা শুরু হলে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।’
রেল ও রাজ্য সরকার মনে করছে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ও সমস্থ নিয়ম মেনে কালীপুজোর আগেই ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। আগামী ৫’ই নভেম্বর নিয়ম নীতি তৈরি করে আবার রেল ও রাজ্য বৈঠক হবে। সেখানে ফাইনাল তারিখ ঘোষণা করা হবে। তবে ৫০% যাত্রী নিয়ে চলবে ট্রেন এমনটাই সিদ্ধান্ত হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ট্রেনে চড়ার নিয়ম কঠিন হতে চলেছে। মাস্ক, সোসাল ডিসট্যান্স, থার্মাল চেক সহ আরও SOP আসছে। তবে ইপাস এর প্রসঙ্গ নস্যাত করে আলাপন ব্যানার্জী।
লোকাল ট্রেন চললে হকার উঠবে কী উঠবে না সেজন্যে অপেক্ষা করতে হবে ৫ তারিখের। সেদিন চুড়ান্ত রূপরেখা তৈরি হবে ও রাজ্যের সীলমোহর পরবে।