দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য প্রায় একমাস ধরে বেলভিউ হাসপাতালে ভয়ঙ্কর লড়াই লড়ছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এরই মধ্যে তাঁর পরিবারের নামে অযথা কুত্সা আর বিভ্রান্তিমূলক প্রচার সোসাল সাইটে ছড়িয়ে দিচ্ছে কিছু মানুষ ও সংবাদমাধ্যম। এই বিষয়টি নিজেই সামনে নিয়ে এসেছেন স্বয়ং সৌমিত্রবাবুর মেয়ে পৌলমী বসু।


সোসাল মিডিয়াতে তিনি তুলে ধরেছেন একটি বাংলাদেশি ওয়েব সাইটের লিঙ্ক। সেখানে সৌমিত্রবাবুর মেয়ে বলে যাঁর আধখানা অশ্লীল ছবি দেওয়া হয়েছে, তিনি কোনভাবেই পৌলমী নন। এমনকি ওই খবরটিতে তাঁর ছেলেরও ভুল ছবি দেওয়া হয়েছে। আর সেই বিভ্রান্তিকর পোস্টের নীচেই সৌমিত্রবাবুর পরিবার সম্পর্কে অপমানজনক মন্তব্য আসতে থাকে একের পর এক। কেউ কেউ লিখেছেন “সৌমিত্রবাবুর ছেলে নেশাখোর, মেয়ে নাটকে সুযোগ পান বাবার নাম ভাঙিয়ে”, “উত্তমকুমার আর সৌমিত্রবাবু, দুজনের পরিবারই ব্যর্থ” এরকম নানা ধরনের আপত্তিকর বিষয় রটতে থাকে।
বিশেষত ওই পোস্টটিকে কেন্দ্র করে পৌলমী বসুর নাট্যজীবন ও নাট্য চর্চা নিয়ে লাগাতার ভুল তথ্য পরিবেশন করা হয়। শুধু তাই নয়, “সৌমিত্রের বয়স হয়েছে, তাঁর আর কিছু দেওয়ার নেই। এবার বিদায় নেওয়াই ভালো”-এমন মন্তব্যও করা হয়েছে সেখানে। এই গোটা বিষয়টির স্ক্রিনশট তুলে দিয়ে পৌলমী লেখেন-‘কিছু স্ক্রিনশট দিচ্ছি। এগুলো ইগনোর করা যেতেই পারে। আমি একটুও বিচলিত নই। কিন্তু ভুলভাল খবরের একটা লিমিট থাকে। বিশেষত যখন আমার বাবা ভয়ঙ্কর লড়াই লড়ছেন, তখন কিছু মানুষ কোনও ফ্যাক্টস না জেনে কুত্সা করছেন। দেখুন আপনারা।’
প্রসঙ্গত, এর আগেও সৌমিত্র বাবুর বেলভিউ হাসপাতালের ভেতর থেকে অসুস্থ অবস্থার ছবি সোসাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিয়ে গুজব রটানো হয় যে সৌমিত্র বাবু মারা গিয়েছেন। সেই সময়েও পৌলমি বসু প্রতিবাদ করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন যে ফ্যাক্ট চেক না করে শুধু ভাইরাল পোস্ট করার জন্যে যে বা যারা এই ধরণের নোংরা কাজ করছেন তাদের ধিক্কার জানাই। অন্তত হাসপাতালের ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো ওনাকে নিজের কাছেই রাখতে দিন।
সোসাল মিডিয়াতে এই মূহুর্তে আগ পিছ না ভেবে মন্তব্য করা, ট্রোল বা অপমান জনক মন্তব্য ছুঁড়ে দেওয়া এই বিষয়গুলির ট্রেন্ড বেড়েছে। বিশেষ করে পরস্পরকে ছোট করে ঠাট্টা করতে করতে এই প্রজন্ম থেকে শ্রদ্ধা, মূল্যবোধ ও সম্মান দান বিষয়টাই ক্রমে হারিয়ে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন মনস্তত্ববিদরা।