দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: অমিত শাহ বাংলার সমতলে পা রাখতে না রাখতেই পাহাড়ের রাজনীতিতে নয়া মোড় এল আজ বিকেলে। বিমল গুরুংকে নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই এবার দার্জিলিং পুরসভার ১৭ জন কাউন্সিলর বিজেপি ছেড়ে ফিরলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চায়। বৃহস্পতিবার কলকাতায় একটি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে ১৭ জন কাউন্সিলর পুরনো দলে ফেরেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রতিষ্ঠাতা বিমল গুরুং। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরিও।
আজ বৃহস্পতিবার দার্জিলিং পুরসভার কাউন্সিলররা জানান, যে আশায় তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, বিজেপি তাদের সেই কথা রাখেনি। তাই এদিন তাঁরা বিজেপি ছেড়ে আবার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চায় ফিরলেন। এই ঘরওয়াপসি নিয়ে বিমল গুরুং বলেন, “বিজেপি কথা রাখেনি। ১৭ বছর ধরে ওদের সঙ্গে রয়েছি আমরা। কিন্তু গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে স্থায়ী সমাধানের জন্য কিছুই করেনি বিজেপি। বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা প্রতিশ্রুতি দেন সেটা রাখেন। তিনি নিজের কথা রাখেন বলেই আমরা বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে ২০২১ সালে তৃণমূলের সঙ্গে যৌথভাবে ভোটে লড়ব। আর বিজেপিকে চরম শিক্ষা দেব।”
এদিকে, মোর্চার আরেক নেতা বিনয় তামাং গুরংয়ের প্রত্যাবর্তন নিয়ে যথেষ্ট রুষ্ট। পাহাড়ে বেশ কিছু শান্তি মিছিলও বের করেছেন বিনয়পন্থী কর্মী-সমর্থকরা। মঙ্গলবার নবান্নে পাহাড়ের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিনয় তামাং-অনীত থাপারা। এদিন বিনয় তামাংকে নিয়ে প্রশ্ন করলে বিব্রত হন গুরুং। বিমল সাফ জানিয়ে দেন, বিনয় তামাংকে নিয়ে তিনি এখানে কিছু বলতে আসেননি তিনি। দলের কাউন্সিলররা বিজেপি ছেড়ে মোর্চায় ফিরেছে সেটাই বলতে এসেছিলেন। গুরুং , জানালেন ‘বিনয় তামাং কী বলছেন সেটা তাঁর ব্যাপার। উনি কী বললেন সেটা নিয়ে ভাবছি না’।