দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: গতকাল রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানালেন, আগামী বুধবার থেকে রাজ্যে ৬৯৬ টি লোকাল ট্রেন চলবে। কোন ডিভিশনে কত ট্রেন চলবে, তা তাঁর টুইটে স্পষ্ট করে বলা নেই। উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যায় একটি টুইটবার্তায় রেল মন্ত্রী জানান, ‘‘১১’ই নভেম্বর (বুধবার) থেকে পশ্চিমবঙ্গের শহরতলিতে ৬৯৬ টি ট্রেন চালাবে রেল। পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থার সহায়তায় যাত্রীদের সুবিধা, স্বাচ্ছন্দ্যকর যাত্রা এবং মানুষের জন্য চলাচল সহজ হবে।’’
প্রসঙ্গত, লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরুর জন্য জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে রেলে। ইতিমধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে লোকাল ট্রেনের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। তবে পূর্ব রেলের তরফে এখনও সরকারিভাবে কোনও সময়সূচি প্রকাশ করা হয়নি। কতগুলি ট্রেন চলবে, তাও সঠিক করে জানানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর, করোনাভাইরাস আবহের আগে যত সংখ্যক ট্রেন চলত, তার ৪০-৪৫ শতাংশের মতো ট্রেন চালানো হবে। সূত্রের খবর এই বিষয়ে আজ বা আগামীকাল রাজ্য সরকার এবং রেলের কর্তাদের মধ্যে একপ্রস্থ আলোচনার পর নির্দেশিকাও প্রকাশ করা হবে বলে।
ইতিমধ্যে শিয়ালদহ এবং হাওড়া ডিভিশনে ট্রেনে স্যানিটাইজেশনের কাজ চলছে। স্টেশনের বিভিন্ন চত্বরে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। ট্রেনের ভিতরে আসন, হাতলেও স্যানিটাইজেশন করা হচ্ছে। পূর্ব রেলের তরফে প্রকাশিত ছবিতে ইঙ্গিত মিলেছে যে আপাতত ট্রেনের কামরার প্রতিটি দিকের মাঝের আসনে ‘ক্রস’ চিহ্ন এঁকে দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ মেট্রোর ধাঁচে লোকাল ট্রেনেও সব আসনে বসা যাবে না।
লোকাল ট্রেনের কামরার তিনটি আসনের মধ্যে মাঝের আসনে যাত্রীরা বসতে পারবেন না। তবে লোকাল ট্রেনের তিনজনের আসনে চারজন করে বসার রেওয়াজ আছে। সেক্ষেত্রে একদিকের আসনে দু’জন করে যাত্রীদের বসার অনুমতি দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। একইসঙ্গে লোকাল ট্রেনে দাঁড়িয়ে যাত্রা করার ক্ষেত্রেও সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
তবে বিশেষজ্ঞ মহলে জল্পনা, রেল অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানোর কথা বলেছে। পাশাপাশি লোকাল ট্রেনের সংখ্যাও অর্ধেকের কম থাকবে। কিন্তু সেই সর্বোচ্চ সীমা কতটা মানা সম্ভব হবে, তা নিয়ে ধন্দ আছে। মেট্রোর ক্ষেত্রে যেভাবে যাত্রী নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বা সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে রাখা সম্ভব, লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখা যথেষ্ট সমস্যার বলেই ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।