দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: লোকাল ট্রেন পরিষেবা বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে। সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি মিটতে চলেছে। সেই জন্যেই স্টেশনগুলিতে যুদ্ধকালীন তত্পড়তায় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। আজ সন্ধ্যায় এই কর্মযজ্ঞের শেষ লগ্নে সব কিছু ঠিকঠাক রাখতে বিভিন্ন জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারদের বেশ কিছু নির্দেশ পাঠানো হল নবান্ন থেকে।
উল্লেখ্য, আজ সোমবার, নবান্নে জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্য সচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিব। ওই বঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব-ও।
সূত্রের খবর ওই বৈঠকে জেলা আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে-
- প্রতিটি লোকাল ট্রেন থামার স্টেশনে চার থেকে ছয় জন সিভিল ডিফেন্স কর্মী রাখতে হবে,
- প্রতিটি স্টেশনের প্রবেশপথে থার্মাল স্ক্যানিং-এর ব্যবস্থা করতে হবে,
- স্টেশনে স্টেশনে থার্মাল স্ক্যানার-এর জোগান দেবে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর,
- থার্মাল স্ক্যানিং ছাড়া কেউ যাতে প্রবেশ না করে তা নিশ্চিত করতে হবে,
- স্টেশনেই রাখতে হবে পর্যাপ্ত মাস্ক এবং স্যানিটাইজার,
- স্টেশনের বাইরে অন্যান্য গণপরিবহণের ব্যবস্থা ঠিক আছে কিনা তা দেখতে হবে,
- নিয়মিত ও ব্যাপক হারে স্টেশনে স্টেশনে করোনা বিধি প্রচার করতে হবে,
- ভিড় নিয়ন্ত্রণে আরপিএফ এর সাথে সহযোগিতা করে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।




বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপারদের উপরোক্ত বিষয়গুলি মেনে চলার বিষয়ে স্থানীয় থানার সঙ্গে বৈঠক করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে জেলা শাসকদের বলা হয়েছে বিডিও ও এসডিও দের সঙ্গে আলোচনা করে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য এবং নিরাপত্তার বিষয়ে নজর দেওয়ার জন্য। করোনা বিধি যাতে লঙ্ঘিত না হয় সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব তাঁদেরই। তবে, ট্রেনের মধ্যে নিয়মিত স্যানিটাইজ করা-সহ অন্যান্য সুরক্ষা-মূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সম্পূর্ণ দায়িত্ব থাকছে রেল পুলিশ ও রেল দপ্তরের ওপরেই।