দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: সোমবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়ে ‘করোনা’ হয়েছে বলে দাবি করে এনামুল, সে কারণে গরুপাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত এনামুল হককে ১৪ দিনের জন্য গৃহবন্দি রাখার সিদ্ধান্ত নিল সিবিআই। সেই সাথে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে এনামুলের লালারস পরীক্ষার ব্যবস্থা করে সিবিআই। এবার সেই রিপোর্ট এলে চূড়ান্ত হবে অভিযুক্ত সত্যিই ‘করোনা’ আক্রান্ত কি না। কিন্তু সে যাতে পালিয়ে যেতে না পারে তার জন্যে তাকে গৃহবন্দি করেছে সিবিআই।
উল্লেখ্য, গতকাল অর্থাত্ সোমবার সকাল ১০:৪৫ নাগাদ কলকাতা লাগোয়া বিধাননগরের সিজিও (CGO) কমপ্লেক্সে হাজির হন গরু পাচার কান্ডের মূল অভিযুক্ত এনামুল। কোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের শর্ত হিসাবে তাকে CBI দপ্তরে হাজিরা দিতেই হত। কিন্তু সেখানে পৌঁছে গাড়িতে বসেই ফোনে সিবিআই আধিকারিকদের তিনি জানান, তাঁর ‘করোনা’ হয়েছে। যদিও ওই মূহুর্তে কোনও রিপোর্ট দেখাতে পারেনি সে। এর পর সিবিআই আধিকারিকরা তাকে দফতরের ভিতরে আসতে বলেন।


সূত্রের খবর সিবিআই আধিকারিকরা এনামুলকে জেরা করে গরু পাচারের সাথে কোন কোন প্রভাবশালী যুক্ত তা জানার চেষ্টা করেন। যদিও সিবিআই সূত্রের খবর, এখনো তেমন কারও নাম করেননি অভিযুক্ত। এর পর সিবিআই গোয়েন্দারা এনামুলকে নিয়ে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে রওয়ানা হন করোনা পরীক্ষার জন্য।
সূত্রের খবর, সোমবার সিবিআই রাজ্য দপ্তরের অফিসে বসে এনামুল বলেছে, আমি সরকারি নিলামে অংশগ্রহণ করেছি। এ বিষয়ে যাবতীয় নথি আমার কাছে রয়েছে। কাগজ কথা বলবে। আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে কর দিই। আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে। তবে চক্রান্ত কে করছে তা বলেনি এনামুল।
এর পরই এনামুলকে ১৪ দিন গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। গোয়েন্দাদের নজরদারিতে নিজের বাড়িতেই গৃহবন্দি থাকবে এনামুল। আগামী ২৪’শে নভেম্বর তাঁকে ফের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৬’ই নভেম্বর দিল্লি থেকে এনামুলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতা আনার পথে এনামুল জানায় সে অসুস্থ বোধ করছে। এর পর তাকে হাজিরার শর্তে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয় কোর্ট।