দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: দুর্গাপুজোর মাসেই সকলের জন্যে খুলে গিয়েছিলো চিড়িয়াখানা। কোভিড আবহেও দর্শক সংখ্যাও ছিল ইতিবাচক। কিন্তু তখন কতৃপক্ষ জানিয়েছিল দশ বছরের নিচে বয়সী শিশুদের নিয়ে ঢোকা যাবে না চিড়িয়াখানাতে। আর তাদের এই নিষেধাজ্ঞার প্রতি তখনই একাধিকবার অনুরোধ-উপরোধ এসেছে। তবুও কতৃপক্ষ অনেককেই ফিরিয়ে দিয়েছে। এমনকি কোলে শিশু নিয়ে আসা বাবা-মাকে বুঝিয়ে বাড়িও পাঠানো হয়েছে। কিন্তু অভিভাবকদের দাবি ছিল ‘চিড়িয়াখানা তো ছোট শিশুদের জন্যেই আর বাচ্চাদেরই যদি ঢোকা নিষেধ হয়, তবে আর চিড়িয়াখানা খুলে রাখা কেন? বন্ধ করে দিলেই হয়!’
যাই হক সেই অক্টোবর এর শুরুর থেকে তর্ক, বিতর্ক, আবেদন-নিবেদন, নিয়ম-বিধিতেও কাজ না হওয়ায় নিত্য তৈরি হওয়া ঝামেলা থেকে নিস্তার পেতে শেষ পর্যন্ত দশ বছরের নিচে বাচ্চাদের ঢোকার ক্ষেত্রে দর্শকদের ছাড়পত্র দিল আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। পুজোর মধ্যে ক’দিন বন্ধ ছিল চিড়িয়াখানা। আবার খোলার পর সেই একই বিতর্ক। কিন্তু এবার আর কোনো ঝামেলা হবে না বলেই মনে করছেন কতৃপক্ষ।
তবে আলীপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এও জানিয়েছে যে এবার সকলকেই ঢুকতে অনুমতি দেওয়া হল। তবে প্রত্যেককে চিড়িয়াখানার ভিতরে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে বাধ্য থাকতে হবে। প্রত্যেককে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী সব পদক্ষেপ মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যেমন ঢোকার মুখে সকলের থার্মাল স্ক্রিনিং করে স্যানিটাইজার হাতে মেখে ঢুকতে হবে দর্শকদের। এনক্লোজারের ধারে কেউ যেতে পারবেন না। কোথাও অহেতুক জটলা বা ভিড় তৈরি করতে পারবেন না।
তবে আলীপুর চিড়িয়াখানা থেকে শুরু করা লাইভ শো দর্শকদের আবেদন মেনে আবার শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। এই প্রসঙ্গে চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিস সামন্ত জানাচ্ছেন, “মানুষ চিড়িয়াখানা নিয়ে অত্যন্ত উত্সাহী। তাঁরা পশুপাখিদের দেখতে চান। জানতে চান অনেক কিছু। তাঁদের কথা রাখতেই আবার লাইভ হচ্ছে।” উল্লেখ্য, লকডাউনের এই পর্বেই বেশ কিছু প্রাণী একাধিক সন্তানের জন্ম দিয়েছে যার মধ্যে সদ্য জ্ন্মানো এক ফিশিং ক্যাটের পুচকে ছানা বিশেষ উল্লেখ্য।