দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: কাজ চলছিল অনেকদিন ধরেই। তবে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি পর্ব ও শেষ বরাহনগর মেট্রো স্টেশনের।এই বরাহনগর মেট্রো স্টেশন হল নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর মেট্রো রুটে মাঝের স্টেশন। এতোদিন ধরে কাজ চলার পর আরভিএনএল এই স্টেশন তৈরির কাজ শেষ করে ফেলেছে। মেট্রো স্টেশনকে রুপ দেওয়া হয়েছে বাঙালি সংস্কৃতির ছাপে। সাজানো হয়েছে বিভিন্ন ম্যুরাল দিয়েও। এছাড়া সবুজের সমারোহ স্টেশনকে করে তুলেছে অনবদ্য।
লাইন পাতার কাজ শেষ। সিগন্যালের ব্যবস্থাও বসানো হয়ে গিয়েছে।ট্রেন চলাচলের জন্যে ইউরোপ থেকে উন্নত মানের প্রযুক্তি ও এসে গিয়েছে। বরানগর ও দক্ষিণেশ্বর স্টেশনের মাঝে মেট্রো যেহেতু লাইন বদল করবে দমদমমুখী মেট্রোতে তাই সিগন্যাল পরীক্ষা করা হচ্ছে বারবার।
মূলত যাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবেই এই মেট্রো তৈরীর কাজ শুরু হয়েছিল। যাত্রীদের আশা ছিল যে,কালী পুজোয় মেট্রো চেপেই তারা পৌঁছে দিতে পারা যাবে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে।কিন্তু সে আশা তাদের পূরন হল না।তবে কল্পতরু উৎসবেই মেট্রো চেপেই পৌঁছে যাওয়া যাবে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে। মেট্রো স্টেশন যাতে খুব শীঘ্রই শুরু করা যায়, তার জন্য আরভিএনএল ও কলকাতা মেট্রো রেলের আধিকারিকরা দফায় দফায় করছেন মেট্রো পরিদর্শন।ইতিমধ্যেই নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত ট্রলিতে পরিদর্শন সেরেছেন মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার সহ আধিকারিকরা। তাদের দাবি, সব ঠিক থাকলে ১ জানুয়ারির আগেই খুলে যেতে পারে দক্ষিণেশ্বর ও বরাহনগর মেট্রো স্টেশন।


দুটি মেট্রো স্টেশনের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ।জোরকদমে চলছে বরাহনগর মেট্রো স্টেশন এলাকার সাজানোর কাজ।চলেছে সিগন্যাল-টেলিকমিউনিকেনর কাজ ও।এছাড়া এসক্যালেটর, প্ল্যাটফর্ম বোর্ড ও বসে গিয়েছে। চলছে এটিভিএম বসানোর কাজ। টিকিট কাউন্টার মেশিন বসানোর কাজও চলছে জোর কদমে। স্টেশনে বিভিন্ন আত্মিক ম্যুরাল বসানো হয়েছে।প্রতিদিন কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখছেন, এই আরভিএনএল ও মেট্রো রেলের আধিকারিকরা।
দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশন দেখতে হয়েছে অনেকটা মন্দিরের আদলেই। ডানকুনি-শিয়ালদহ শাখায় দক্ষিণেশ্বর স্টেশন থেকেও মেট্রো চড়ার জন্য রাস্তা থাকছে। বরাহনগর স্টেশন হচ্ছে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের ওপরে। ডানলপ থেকে সহজেই এখানে পৌঁছে যাওয়া যাবে। নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে থাকছে মাত্র একটি স্টেশন। নোয়াপাড়া ও দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে দুরত্ব হচ্ছে মাত্র ৪.১ কিলোমিটার।
এছাড়া বিশেষ বিশেষ দিনের ভিড়ের কথা মাথায় রেখেই, স্টেশনকে আরোও প্রশস্ত করা হয়েছে। তবে বরানগর অংশে কাজ কিছু বাকি আছে এখনও। বিশেষ করে ট্র্যাক বসানোর কাজ শেষ হলেও, তা চার্জ করে বারবার পরীক্ষা করা হচ্ছে।
মেট্রোর দাবি, নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্ত ব্যবস্থা থাকবে। প্রথমে লক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল কালী পুজোয় চালু করে দেওয়া হবে এই মেট্রো স্টেশন। কিন্তু ইউরোপ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টিপিডাব্লুএস মেশিন, ফ্ল্যাপ গেট না এসে পৌছনোর কারণে সমস্যা তৈরি হয়। মেট্রো আশাবাদী এগুলি এসে গেলে শীঘ্রই কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটিকে দিয়ে পরীক্ষা করানো হবে। আপাতত শীঘ্রই যাত্রা শুরুর জন্যে অপেক্ষা করছে কলকাতার দুই নয়া মেট্রো স্টেশন।