দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ভারত বায়োটেকের তৈরি এক হাজারটি ভ্যাকসিন কলকাতায় এসে পৌঁছলো। হায়দ্রাবাদ থেকে সেগুলিকে নিয়ে আসা হয়েছে নাইসেডে। সূত্রের খবর, ডিসেম্বর থেকেই তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হবে দেশ জুড়ে। ওই উদ্যোগে সামিল কোলকাতাও। কলকাতার ক্ষেত্রের এই তৃতীয় পর্যায় ট্রায়ালের প্রথম ডোজটি নেবেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। অন্যদিকে, তিনি ছাড়াও বিদায়ী ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষও সেচ্ছাসেবক হিসেবে নাম লিখিয়েছেন ।


এই টিককরণ কর্মসূচী সম্পর্কে নাইসেডের তরফে জানানো হয়েছে, এই স্বেচ্ছাসেবকদের ২৮ দিনের ব্যবধানে দুটি ডোজ দেওয়া হবে। গোটা প্রক্রিয়া শেষ করতে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাস শেষ হয়ে যাবে। এ রাজ্যে মোট এক হাজার স্বেচ্ছাসেবককের উপর পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হবে এই ভ্যাকসিন।
নাইসেড সূত্রে জানা গিয়েছে, নাইসেডের তরফে স্বেচ্ছা সেবক সংগ্রহের উদ্দেশ্যে একটি ফোন নম্বর দেওয়া হবে। যাঁরা ওই নম্বরে যোগাযোগ করবেন, তাদের প্রাথমিক বাছাইয়ের পর দ্বিতীয় ধাপে ডেকে শারীরিক পরীক্ষা হবে। তবে সেক্ষেত্রেও বেশকিছু বিধি নিষেধ রয়েছে। যেমন একটি নির্দিষ্ট বয়সসীমাতেই দেওয়া হবে এ টিকা, কোমরবিডিটি থাকলে ক্যানসেল হয়ে যাবে। থাকবে। শর্ত পূরণে স্বেচ্ছাসেবক বাছা হবে। কেউ আগে করোনা আক্রান্ত হলে স্বেচ্ছাসেবক হতে পারবেন না। স্বেচ্ছাসেবক হতে পারবেন না অন্তঃসত্ত্বারা। তবে ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশনের মতো রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকলে স্বেচ্ছাসেবক হওয়া যাবে এবং একবার স্বেচ্ছাসেবক হলে ১ বছর নিজের ঠিকানা পরিবর্তন করা যাবে না।


এই মূহুর্তে ভ্যাকসিনগুলি সংরক্ষণ করা হয়েছে মাইনাস ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায়। পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি এবং ভারত বায়োটেকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে এই কোভ্যাক্সিন। আশা করা যাচ্ছে এই ভ্যাকসিন ভারতের মানুষদের কে করোনার করল গ্রাস থেকে রক্ষা করবে।