দ্য ক্যালকাটা মিরর: দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে। সুস্থ্যতার হার বাড়লেও করোনা সংক্রমণ কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এবার নতুন করে চিন্তার ভাঁজ কপালে, আবারও কলকাতার তিনটি জায়গাকে ফের কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হল। সরকারি সূত্র মারফত খবর, নতুন তিনটি কন্টেনমেন্ট এলাকার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ কলকাতা এবং দক্ষিণ শহরতলির অন্তর্গত টালিগঞ্জের ১৮ রাজা বসন্ত রায় রোডের একটি আবাসন, ২০ বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের একটি বহুতলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তল এবং পাটুলি থানা এলাকার ৯, ভ্যালি পার্ক।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, রাজা বসন্ত রায় রোডের ওই আবাসনে ছ’জনের একসঙ্গে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। আবার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের ওই বহুতলটির প্রথম দুটি তলে অনেক গুলি অফিস রয়েছে। সেই বহুতলটিতে ঠিক কত জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন, তা নির্দিষ্ট সংখ্যা জানা না গেলেও, জানা গিয়েছে, আজ সোমবার থেকে সুরক্ষার জন্যে বন্ধ রাখা হবে অফিসগুলি।
এর পাশাপাশি, পাটুলির বহুতলের একটি ফ্ল্যাটেই সাত জন বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই নতুন জোন গুলি সম্পর্কে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত, প্রশাসকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য তথা প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানান, “শহরে নতুন করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আসলে কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করতে গেলে একটি নির্দিষ্ট রাস্তা বরাবর একটি বহুতল বা তার পাশের বাড়িগুলিতে যদি করোনা রোগী থাকেন, তা হলে ওই রাস্তায় বাড়িগুলির নিকটস্থ অংশকেই কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়।”


এই বিষয়ে তিনি আরও জানান যে, বর্তমানে কোনো একটি এলাকার পাশাপাশি বাড়িগুলিতে সংক্রমণ না হয়ে চার দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু নিয়ম হলেও বিক্ষিপ্ত ভাবে কোনও কোনও বাড়িতে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে গোটা রাস্তাকে কন্টেনমেন্ট জোনের আওতায় আনা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে ওই বাড়ি বা নির্দিষ্ট ফ্ল্যাটটিকে “হোম আইসোলেশন” করা হয়।
তবে নতুন যে তিনটি জায়গায় করোনা ধরা পড়েছে, সেখানে একই আবাসনে একই জায়গায় অনেকেই সংক্রমিত হয়েছেন বলে তিনটি জায়গা কন্টেনমেন্ট এলাকা বলে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানান পুর কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও, সম্প্রতি পুরসভার পক্ষ থেকে করা একটি সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, উত্তর কলকাতার তুলনায় দক্ষিণ কলকাতা এবং সংযোজিত এলাকায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানান পুর কর্তৃপক্ষ।
তবে সেই সাথে বিশেষজ্ঞদের মতে রাজ্যে ও কলকাতা শহরে করোনা পরীক্ষাও বাড়ানো প্রয়োজন। যদিও অতিন ঘোষ জানান যে, এখন প্রায় ১০০টি ওয়ার্ডে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। পাশাপাশি, আগামী কিছু দিনের মধ্যে শহরের ১৪৪টি ওয়ার্ডেই ওই পরীক্ষাকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে বলেও তিনি আশস্ত করেন।