দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: দীর্ঘ দিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আজ থেকে নতুন রূপে খুলে যাচ্ছে মাঝেরহাট ব্রিজ। ২ বছর ৩ মাস বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার বিকালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে উদ্বোধন হতে চলেছে এই নবনির্মিত মাঝেরহাট ব্রিজের। উল্লেখ্য নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর স্মরণে মুখ্যমন্ত্রী এই ব্রিজের নতুন নামকরণ করেছেন ‘জয় হিন্দ’ সেতু৷সেতু৷ফলে আজ, অর্থাৎ ৩ ডিসেম্বর থেকেই নতুন রূপে, নতুন নামে ছন্দে ফিরছে দক্ষিণ কলকাতার লাইফলাইন।
জানা গেছে নতুন সেতুতে একটি বিশেষ ধরনের সেন্সর থাকবে। যার মাধ্যমে বোঝা সেতুতে কত ওজনের যানবাহন চলাচল করছে। সেন্সরে নির্দিষ্ট ওজন অতিক্রম করলেই অ্যালার্ম বাজবে, যার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে উদ্যোগী হবে লালবাজার। এছাড়া নজরদারি চালাতে সেতুর ওপর আটটি সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে।
উল্লেখ্য কলকাতা পুলিশের তরফে নির্দেশিকা দিয়ে জানানো হয়েছে ব্রিজ খুলে দেওয়া হলে সেতু এবং তারাতলা-আলিপুর সংলগ্ন রাস্তায় যান চলাচল করা যাবে। মাঝারি এবং ভারি পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া ডায়মন্ড হারবার রোড থেকে সব উত্তরমুখী গাড়ি মাঝেরহাট সেতু দিয়ে যেতে পারবে। মাঝারি এবং ভারি পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে তারাতলা ক্রসিং থেকে তারাতলা রোডের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। সেখান থেকে হাইড রোড-হেস্টিংস ক্রসিং হয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতু পৌঁছে যেতে পারবে গাড়িগুলি।
২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের এক অভিশপ্ত বিকেল। মুহুর্তের মধ্যে ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট ব্রিজ৷ সেদিনের অভিশপ্ত ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান বেহালা শিলপাড়া অঞ্চলের বাসিন্দা সৌমেন বাগ৷ এছাড়াও ব্রিজের ভেঙে পড়া অংশের নিচে চাপা পড়ে যান সংলগ্ন মেট্রো প্রকল্পে কর্মরত মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা প্রবীর কুমার দে এবং একজন রাঁধুনী গৌতম মণ্ডল৷ দূর্ঘটনায় আহত হন একাধিক মানুষ। ক্ষতিগ্রস্থ হয় ছোট-বড় মিলিয়ে ৯টি গাড়ি৷ যার জেরে দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ শহরতলীর সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে৷যার ফলে আধ ঘণ্টার রাস্তা যেতে সময় লেগে যেত প্রায় দেড় থেকে দু’ঘণ্টা৷ ফলে মাঝেরহাট সেতু চালু হওয়ায় খুশির হাওয়া সাধারণ জনজীবনে৷