দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: কলকাতা পুরসভায় বসতে পারে স্পেশ্যাল ইনডিপেন্ডেন্ট অফিসার! হ্যাঁ আর তা বসতে পারে সুপ্রিম কোর্টে এই পুরভোট মামলার পরবর্তী শুনানির আগেই। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে রাজ্য সরকারের আশঙ্কা, এবার কলকাতা পুরসভায় স্পেশ্যাল অফিসার বসিয়ে দেবে আদালত। সে কারণে রাজ্য সরকার স্বপ্রনোদিতভাবে সেই পদে নিয়োগ সেরে রাখবে। সেই সাথে রাজ্য সরকার আদালতকে এও আপিল করবে যে, এখনই পুরোভোট করানোর কোনও ইচ্ছা নেই রাজ্য সরকারের।
গোপন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে তৃণমূলের অন্দরেই এই পুরোভোট করানো নিয়ে চাপা গোষ্ঠি-অসন্তোষের অবহাওয়া চলেছে। আর তা নিয়ে মূলত: দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের পৌরসভা ইউনিট। এই ভোট করানো নিয়ে প্রশাসক ববি হাকিম সহ প্রশাসনিক বোর্ডের বেশ কয়েকজন সদস্যর মত রয়েছে। উল্টোদিকে দলের বেশ কিছু নেতা ও বিধায়ক এখনই পুরভোট চাইছেন না। এমনকি তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরেরও রয়েছে এই বিষয়ে ‘না’।
আরও পড়ুন: “কল্যাণ কে? অজয় ভাল্লা কল্যাণ এর চিঠি এতক্ষণে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছেন”: জয়প্রকাশ মজুমদার
এই বিষয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রশাসকের যুক্তি, কলকাতা পুরভোটে তৃণমূলের জেতা কোনও ব্যাপারই নয়। আর এই জয় আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মীদের গোটা রাজ্যে উদ্বুদ্ধ করবে। তবে ফিরহাদের এই যুক্তির পেছনে ‘ইতিবাচক’ মনোভাব থাকলেও অন্য আশঙ্কার আঁচ করছেন দলের বেশ কিছু নেতা ও বিধায়কও। তাঁদের আশঙ্কা কলকাতায় পুরভোট ঠিকঠাক ভাবে করতে গেলে ‘হিংসার আশঙ্কা’ রয়েছে। আর সেসব সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিধানসভা নির্বাচনে এমনিতেই অ্যাডভান্টেজ পেয়ে যাবে বিজেপি। আর ঠিক এই একই কারণে প্রশান্ত কিশোরও চাইছেন না বিধানসভা নির্বাচনের আগে পুরভোট করাতে।
যদিও এখনো রাজ্যের হাতে করোনা কে হাতিয়ার করে এই পুরোভোট কে পিছিয়ে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আর এই একই বিষয় নির্বাচন কমিশনকেও শাসক দল অবহিত করবে। আগামী ১৭’ই ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার ফের শুনানি রয়েছে। প্রসঙ্গত, গতবারের শুনানিতে আদালটের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল, আগামী ১১ দিনের মধ্যে পুরভোটের নির্ঘণ্ট স্থির করতে হবে না হলে কলকাতা পুরসভায় স্পেশ্যাল অফিসার বসিয়ে দেবে আদালত। তবে এর আগেই খবর যে সরকারের পছন্দেরই কোনও IPS অফিসার হতে চলেছেন কলকাতা পুরসভার স্পেশ্যাল অফিসার। এখন তিনি কে সেটাই দেখার, আর সেই সাথে আদালতও কী বলে সেটাও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।