২০২০ সমগ্র বিশ্বের জন্যে অভিশাপ। বাংলাও হরিয়েছে একের পর এক নক্ষত্র। এমত পরিস্থিতিতে একটি নতুন খবর বাংলার রাজনৈতিক মহল কে উদ্বেগে রেখেছে। আমাদের সকলের অতিপরিচিত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর (ছোট’দা) শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক।
উল্লেখ্য যে গত ২১ জুলাই থেকে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বেলভিউ নার্সিংহোমে ভরতি রয়েছেন তিনি। মেডিকেল বোর্ড এর মতে, তাঁকে আপাতত ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। আপাতত আইসিইউতেই রয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা।
নার্সিং হোম সূত্রে খবর, বর্তমানে তাঁর কিডনি কাজ করছে না। হৃদস্পন্দনের মাত্রাও হটাত্ করে কমে গিয়েছে। তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রাও যথেষ্ট কম। তাঁর এখনও জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যাও রয়েছে। যদিও বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতার আগে থেকেই ফুসফুস-জনিত শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল।
নার্সিং হোমে ভরতি হওয়ার দিন জ্বর ও শ্বাসকষ্টের লক্ষণ দেখে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর কোভিড পরীক্ষা করা হয়। তবে প্রাথমিক রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
কিন্তু চার দিন বাদে, এখনও তাঁর জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়ে গিয়েছে। সেকারণে আবারও করোনা পরীক্ষা করা হতে পারে বলে হাসপাতাল কতৃপক্ষ ইঙ্গিত দিয়েছেন।
নেফ্রোলজিস্ট প্রতীম সেনগুপ্ত এবং কার্ডিওলজিস্ট এস কে বিশ্বাস এবং অরিন্দম মৈত্রকে নিয়ে তৈরি একটি বোর্ড তাঁর দেখভাল চালাচ্ছেন। এঁরাই আগামী ৪৮ ঘণ্টা দুইবারের জন্যে নির্বাচিত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে পর্যবেক্ষণে করছেন।
ডাক্তাররা জানাচ্ছেন যে দীর্ঘদিন ধরেই হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও শিয়ালদহ অঞ্চলের ছোট’দা। সাধারণত: দিল্লির এইমসে (AIIMS) চিকিৎসা করান তিনি।
পরিবার মারফত জানা গিয়েছে গত শুক্রবার হঠাৎ নিশ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হওয়ায় তাঁকে বেলভিউ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সঙ্গে সামান্য জ্বরও ছিল। পারিবারিক চিকিৎসকের পরামর্শেই ওই হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে।
সোমেনবাবুর ছেলে রোহিত মিত্রর সাথে কথা বলে জানা যায় যে, গত সোমবার রাতে সোমেনবাবুর ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। যদিও তাঁর রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়াটা নতুন কিছু নয়।
আসলে লকডাউনের কারণে ও করোনা সংক্রান্ত সুরক্ষা বিধি মানতে গিয়ে বেশ কিছুদিন নিয়ম মতো শরীরচর্চা না হওয়ায় সমস্যা বেড়েছে। তাছাড়া অনিয়মিত খাওয়াদাওয়ার অভ্যাস তাঁর শরীরের প্রভূত ক্ষতি করেছে।
রাজনৈতিক মহলের পাশাপাশি তাঁর দলীয় কর্মী ও অনুগামীরাও চাইছেন তাদের অতি প্রিয় ‘ছোট’দা’ দ্রুত সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরে আসুন। উল্লেখ্য, বাংলার রাজনীতিতে ১৯৭২ সাল থেকে তিনি সক্রিয়ভাবে কাজ করে আসছেন।