কৌশিক দত্ত, কলকাতা: ছোট বেলায় প্রথম যে ঠাকুরের ছবি পড়ার বইয়ের পাতায় দেখা তিনি দেবতা না হয়েও দেবজ্ঞানে পূজিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি জাতি ,ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের ঠাকুর, প্রাণের ঠাকুর। তাঁর যাতায়াত অনুভবে। তিনি কাছে না থেকেও হৃদয়ে চিরদিনের জন্যে অমলিন। আজ শ্রাবণের সেই দুক্ষের দিন। আজ ২২ শে শ্রাবণ। আজ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস।
প্রতি বছর এই দিনটি বাঙালি নিয়ম করে তাদের নিজের মতো করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। কিন্তু বর্তমান সময়ে করোনার আবহে যখন সব কিছু প্রায় বন্ধ, তখন প্রতি বছরের মতো না হলেও নিয়ম মেনে ছোটো করেই কলকাতায় পালিত হল ২২ শে শ্রাবণ, করা হলো শ্রদ্ধা জ্ঞাপন।


আজ ৭’ই আগস্ট, শুক্রবার সকাল বেলা নিমতলা মহাশ্মশানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি স্মারকে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে যান রবীন্দ্রভারতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতা পৌরসভার প্রাক্তন মেয়র জনাব ফিরহাদ হাকিম আর তার সাথে ছিলেন নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী মাননীয়া শশী পাঁজা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী আজ সকল ৯ টা নাগাদ টুইট করেছেন। তিনি রবীন্দ্রনাটের স্মরণে লিখেছেন “জীবন মরণের সীমানা ছাড়ায়ে, বন্ধু হে আমার রয়েছ দাঁড়ায়ে…আজ বাইশে শ্রাবণ। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস। বিশ্বকবিকে জানাই আমার অন্তরের প্রণাম। ওনার জীবনদর্শন আমাদের পাথেয় হয়ে উঠুক।”


কলকাতার হেবিওয়েট ভিভিআইপি দের পাশাপাশি দেখেত পাওয়া গেল স্বল্প সংখ্যক রবীন্দ্র অনুরাগীকে। তারাও এসেছিলেন শ্রদ্ধা জানাতে। এই দিনের হটাত্ চমক, নিমতলা শ্মশান চত্বরে হেঁটে বেড়ানো হেদুয়া নিবাসি বি.এস.এন.এল এর অবসর প্রাপ্ত কর্মী সোমনাথ ভদ্রকে। অবিকল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো দেখতে এই মানুষটি আবৃত্তি করছিলেন রবীন্দ্র কবিতা। এছাড়া রবীন্দ্র-শিষ্য-শিষ্যা দের অনেককেই দেখতে পাওয়া গেলে গান-আবৃত্তির মাধ্যমে তাদের ঠাকুরকে শ্রদ্ধা অর্পণ করতে।