দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: একা রামে রক্ষে নেই, সুগ্রীব দোসর। করোনার জের চলছে এখনও। এই জেরেই চলছে সারা দেশে লকডাউন, ঘর বন্দি সাধারন মানুষ। কিন্তু তারপরেও প্রতিদিনই মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ১৬ লাখেরও বেশি মানুষ। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৪,৫৩১ জনের শরীরে মিলেছে করোনাভাইরাস। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৩০০০জন।
করোনার জেরে যখন সারা রাজ্যে লকডাউন চলছে তখনই কলকাতার জনাকীর্ণ পার্ক স্ট্রিট এলাকার একটি আটতলা ভবনে ঘটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। সোমবার কলকাতার পার্ক স্ট্রিটের অপিজি বাড়িতে ঘটে এই বিশাল অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। মূলত সকাল ১১ টার দিকে ঘটে এই ঘটনাটি। ওই বাড়ির পঞ্চম তলায় একটি বেসরকারী ব্যাংকের সার্ভার থেকে শর্ট সার্কিটের আগুনের কারণে ঘটে এই ঘটনা। অজয় হাউসের পঞ্চম তলায় একটি অফিসে আগুন নেভানোর জন্য কমপক্ষে ১০ টি ফায়ার টেণ্ডার আসে। দমকল বিভাগ আগুন জ্বালানোর লড়াইয়ের জন্য একটি জলবাহী সিঁড়ি এবং অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে এসেছিল। দুর্যোগ পরিচালনার কর্মীরা এবং বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল।তবে দুপুর দেড়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।


পুলিশের মতে, ভবনটি থেকে লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, বেশ কয়েকটি সংস্থার অফিস রয়েছে এবং এটি অপিজয় সুরেন্দ্র গ্রুপের সদর দফতরও। দমকল বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘ভবনের সমস্ত লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে’। তারা আরোও জানিয়েছেন, ‘কেন্দ্রীয় শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত ভবনের ৫ ম তলায় অফিসের একটিতে এই আগুনের সূত্রপাত হলে, সেখানে কেউ আহত হননি। অপিজ সুরেন্দ্র গ্রুপের বেশ কয়েকটি কর্পোরেট অফিস এবং সদর দপ্তর থাকা ভবনটি খালি করার চেষ্টা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, “প্রথমদিকে, সকাল ১১ টায় এখানে হালকা ধোঁয়া দেখা গিয়েছিল, তবে ১১.৩০ র মধ্যে ঘন কালো ধোঁয়া জানালা দিয়ে জ্বলতে দেখা গেছে,”।এই অগ্নিকাণ্ডের কারণে, কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ কিছু সময়ের জন্য পার্ক স্ট্রিট ও তার আশেপাশ সংলগ্ন সমস্ত এলাকা যানবাহন প্রবেশ ও চলাচল বন্ধ করে দেয়। এর জেরে মহানগরের যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের মার্চ মাসে ও, অপিজয় হাউজের নিকটবর্তী স্টিফেন কোর্টে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৩ জন প্রাণ হারিয়েছিল।