দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে কলকাতায় ১৩০ জন ভারতীয় নাগরিকের জন্য দ্বিতীয় প্রত্যর্পণ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ ক্যালকাটা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। গত বুধবার, এই অ্যাসোসিয়েশন তাদের বিশ্বব্যাপী ত্রাণ ও পুনর্বাসনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখে এবং সামাজিক বাধ্যবাধকতা পূরণ করে।
১৯ আগস্ট রাতে দুবাই থেকে কলকাতায় আসে দ্বিতীয় প্রত্যর্পণ ফ্লাইটটি। দুইজন গর্ভবতী মহিলা এবং দশজন সিনিয়র সিটিজেন নিয়ে গঠিত ১৩০ জন যাত্রীর একটি চার্টার্ড ফ্লাইট কলকাতা শহরে ফিরে আসে। যাদের মধ্যে ৮০ জন তাদের বাসগৃহ উত্তর বঙ্গ ও সিকিম যাত্রার জন্য রওনা হবে।
এই যাত্রী তালিকায় বেকার অভিবাসী শ্রমিকদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যারা তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে দুবাইয়ে আটকে ছিলেন। সকল যাত্রীদের জন্য কোভিড পরীক্ষা সহ মেডিকেল পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়, এবং তাদের রিপোর্ট নেতিবাচক (নেগেটিভ) এবং যথাযথ সতর্কতা এবং স্বাস্থ্য প্রোটোকল পর্যবেক্ষণ করার পর পরই তারা দুবাই থেকে কলকাতা বিমান ভ্রমণ করে।


অ্যালামনা অ্যাসোসিয়েশনের (স্বশাসিত) সভাপতি রেভ ডমিনিক স্যাভিও এসজে
সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের (কলকাতা) প্রাক্তন ছাত্র সংগঠন (কলকাতা) অ্যালামনা অ্যাসোসিয়েশনের (স্বশাসিত) সভাপতি রেভ ডমিনিক স্যাভিও এসজে এই উদ্যোগের কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন “আমরা সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ (স্বায়ত্তশাসিত) কলকাতায় ছাত্রদের প্রচার করি মানবজাতির প্রতি নিঃস্বার্থ সেবা প্রদানের জন্য, যা জেসুইট মতবাদকে সমর্থন করে। আমি আনন্দিত যে আমাদের কলেজের প্রাক্তন ছাত্ররা কলকাতা এবং দুবাইতে থাকা দরিদ্র যাত্রীদের নিরাপদে তাদের বাড়িতে পৌঁছাতে সাহায্য করার ঐতিহ্য ও অঙ্গীকার বজায় রাখছে, এই কঠিন পরীক্ষার সময়ে তাদের প্রিয়জনদের সাথে তাদের দেখা করানোর ব্রতে সামিল হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন-“আমরা দুবাইয়ে ভারতের কনসাল জেনারেলের কার্যালয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী সরকার, ডিজিসিএ, ভারত সরকার, পূর্বাচল প্রবাসী মিলান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, মারোয়াড়ি যুব মঞ্চ সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং আমাদের জাভেরিয় পরিবারের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই।”


মিরিক, কালিম্পং, কার্শিয়াং ইত্যাদি – রুট ফুড, ওয়াটার, মেডিসিন ব্যবস্থা সহ।
এই উদ্যোগের অধীনে এসএক্সসিসিএ (SXCCA) সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং এসএক্সসিসিএ (SXCCA) যৌথভাবে আর্থিকভাবে দুঃস্থ দের জন্য ৫০টি রিটার্ন টিটিকিটের পৃষ্ঠপোষকতা করার ব্যবস্থা করে, আরও বেশ কয়েকজন অভাবী অভিবাসী শ্রমিকের জন্য ভর্তুকিযুক্ত ভাড়ার ব্যবস্থা করে। এসএক্সসিসিএ কলকাতায় ৮০% যাত্রীর জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করে, তাদের অধিকাংশই অভিবাসী শ্রমিক, এবং উত্তর বঙ্গ ভ্রমণের জন্য ২টি বাস প্রধানত বাগডোগরা, জলপাইগুড়ি, মিরিক, কালিম্পং, কার্শিয়াং ইত্যাদি – রুট ফুড, ওয়াটার, মেডিসিন ব্যবস্থা সহ।
লজিস্টিক সহায়তা এবং আনুষ্ঠানিকতা সুবিধার জন্য দুবাই ও কলকাতা উভয় বিমানবন্দরে এসএক্সসিসিএ-এর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। দুবাই ও কলকাতায় এসএক্সসিসিএ-এর সদস্যরা কোভিড পরীক্ষার ফলাফল এবং অন্যান্য ভ্রমণের কাগজপত্র আপলোড করতে সহায়তা করেছে। এসএক্সসিসিএ তাদের প্রতিশ্রুতি প্রদান করে যাচ্ছে, যাদের প্রয়োজন তাদের সাহায্য করার জন্য এবং আগামী দিনে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে তারা তা বজায় রাখতে চায়।