দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
অনলাইনে অর্ডার করেছিলেন বাথটবের। এরপর ছেলে-মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার বড় সাইজের দু’টি ড্রাম ভর্তি করে গঙ্গা থেকে এনেছিলেন জল। সেই বাথটবে জল ভরে বুধবার ছট পালন করলেন নিউ আলিপুরের বাসিন্দা অজয় তিওয়ারি। তিনি বলছেন, ‘করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে এবং এলাকার জলাশয় যাতে দূষিত না হয় তাই এই আয়োজন।’
পরিবেশ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে কেউ যাতে রবীন্দ্র সরোবরে ঢুকতে না পারেন, তা নিশ্চিত করাই ছিল ওঁদের লক্ষ্য। রাত আটটা থেকে সরোবরের ১৬টি গেটে পাহারায় বসেছিলেন জাতীয় বাংলা সম্মেলনের সদস্যরা। একটাই স্লোগান, ‘ছট পুজোর নামে রবীন্দ্র সরোবরে দূষণ মানছি না, মানব না।’
অজয়ের মতে ছটের দিনে সচেতন নাগরিকের ভূমিকা পালন করেছেন কলকাতা এবং লাগোয়া এলাকার অনেক বাসিন্দা। ছট পুজোর দিনে নাগরিক এবং বিভিন্ন সংগঠনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন কলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলছেন, ‘শহরের অনেক নাগরিকই বাড়িতেই জলাশয়ের ব্যবস্থা করে ছট পুজোতে সামিল হয়েছেন এটা সত্যিই প্রশংসার।
ছট পুজোর জন্য বাড়ির ছাদে গত বছর থেকে কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করেছিলেন দমদম পুরসভার পুর প্রশাসক হরিন্দর সিং। কৃত্রিম জলাশয়ে তাঁর পরিবার ছাড়াও আশপাশের বেশকিছু বাড়ির সদস্যরাও ছট পুজো করেছেন। হরিন্দর বলছেন, ‘করোনা এবং দূষণের কারণে বাড়িতেই সকলকে ছট পুজোর আর্জি জানিয়ে প্রচার করা হয়েছে।
নিউ টাউনের ইউনি ওয়ার্ল্ড সিটি, ডিএলএফ নিউটাউন হাইটসের পাশাপাশি বাঙুর, লেকটাউনের অনেক আবাসনেই এবার ছট পুজোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কোথাও আবাসনের ভিতরে ফোয়ারা রয়েছে এমনিতেই দূষণের মাত্রা বাড়ছে। সে-কারণেই আবাসনেই পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। আগামীদিনেই এই ব্যবস্থা করা হবে।’