দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: সোমবার ভোর পাঁচটায় বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে যায় নারকেলডাঙার ছাগলপট্টি বস্তি। ক্যানাল ইষ্ট রোডের খালপাড়ের বস্তিতে আগুন লাগে। এদিন সকালে হঠাৎ আগুন লাগার দরুণ নারকেলডাঙার ছাগলপট্টি বস্তি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। স্থানীয়দের দাবি, এলাকার একটি মিটার ঘর থেকে শর্ট সার্কিট হয়েই এই আগুন ছড়ায়। আগুন লাগার ফলে পুড়ে যায় বেশ কয়েকটি ঝুপড়ি ও ঘর।
প্রতক্ষদর্শীদের মতে বাঁশ ও প্লাস্টিকের মতো দাহ্য পদার্থ দিয়ে তৈরী ওই ঝুপড়ি গুলিতে আগুন কয়েক মিনিটের মধ্যেই তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কোন কিছু বোঝার আগেই দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে গোটা বস্তি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের দশটি ইঞ্জিন। এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন খোদ দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন তিনি।
এক নিমেষে পর-পর পুড়ে ছাই হয়ে যায় ২৫টি ঝুপড়ি। সঙ্গে ২৫টি সংসারও।আগুন লাগার পর তা নেভানোর কাজে হাত লাগান ওই এলাকার মানুষ। পাক্কা দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় অবশেষে আয়ত্ত্বে আসে আগুন। কিন্তু ততক্ষণে আগুনের রোশে শেষ হয়ে গেছে পরিবরগুলির শেষ সম্বলটুকুও। চোখের সামনে ভেঙে পড়েছে তাদের বহু কষ্টে গড়ে তোলা মাথার একফালি ছাদ।
উল্লেখ্য, লকডাউনের জন্য স্থানীয়দের অনেকেই ঘরে চাল, খাবার মজুত করেছিলেন। আগুনের সেই লেলিহান শিখায় জলে পুড়ে একেবারে খাঁ খাঁ হয়ে গিয়েছে সব। বইপত্র, জামাকাপড়, এবং অতিকষ্টে জমানো সঞ্চয় হারিয়ে, একেবারে বোবা হয়েছেন বস্তির বাসিন্দারা। সব হারানোর যন্ত্রণা চোখে বসে ক্যানাল ইস্ট রোডের পুড়ে যাওয়া বস্তির বাসিন্দা সাহিদা বিবি, মহম্মদ ইমরানরা। কিভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ‘আগুন লাগার কারণ নিয়ে তদন্ত হবে’ জানিয়েছেন দমকলমন্ত্রী।