দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ইতিমধ্যেই এ মাসের ১৫ তারিখ থেকে শুরু হতে চলেছে মেট্রো চলাচল। আর তার জেরেই বুধবার গাইডলাইন প্রকাশ করল কলকাতা মেট্রোরেল কতৃপক্ষ। এই গাইডলাইন অনুযায়ী সপ্তাহে ৬ দিন মেট্রো চলবে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। মেট্রোরেলের ওয়েবসাইট বা পথদিশা অ্যাপ থেকে একটি ই-পাস ডাউনলোড করা যাবে। এই ই-পাস ১২ ঘন্টা আগে বুকিং করা যাবে। ই-পাস চেকিং এর পর যাত্রীদের স্টেশনে প্রবেশের অনুমতি দেবে রাজ্য পুলিশ এবং আরপিএফ।
মেট্রো অফিসিয়ালরা আই কার্ড দেখিয়ে স্টেশনে প্রবেশ করে ওই ই-পাস সংগ্রহ করবেন। ঠিকাদার সংস্থার কর্মীদের ভেতরে প্রবেশের বিশেষ অনুমতি দেওয়া হবে, তবে তাঁদের ক্ষেত্রে এই ই-পাসের প্রয়োজন হবে না৷ কোনো টোকেন ইস্যু হবেনা। শুধুমাত্র এই স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে। স্মার্ট কার্ড দেওয়ার জন্যে বুকিং কাউন্টারও খোলা থাকবে। শেষ মেট্রো ছাড়া হবে সন্ধ্যা ৭টায়। যে সমস্ত স্টেশন গুলি কন্টেইনমেট এলাকার মধ্যে পড়বে সেই সমস্ত এলাকার স্টেশন বন্ধ থাকবে। তবে রবিবার মেট্রো পরিষেবা সম্পুর্ণভাবে বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা করা হয়।
এই গাইডলাইনে আরও বলা হয়েছে যে,’প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে ২০ সেকেন্ডের বদলে ৩০ সেকেন্ড দাঁড়াবে মেট্রো। রেক স্যানিটাইজ করার পরই তা চালানো হবে। যে সমস্ত সিটে ক্রস চিহ্ন দেওয়া থাকবে সেখানে কেউ বসতে পারবেনা। পাশাপাশি, যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের পরেই স্টেশনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে তার আগে নয়।
কতৃপক্ষরা প্রত্যেক যাত্রীকে ‘আরোগ্য সেতু অ্যাপটি’ ডাউনলোড করতে বলেছেন। কোনো ব্যাক্তির যদি জ্বর, হাঁচি,সর্দি, কাশি থাকে তাহলে সেই ব্যাক্তি স্টেশনে আসতে পারবেন না। মাস্ক পড়া, নাক ও মুখ ঢেকে রাখা অবশ্যই বাধ্যতামূলক। লিফটে মাত্র ৩ জন উঠতে পারবেন। স্টেশনে থুতু ফেললেই জরিমানা স্বরূপ দিতে হবে মোটা অঙ্কের টাকা।
মাটির নীচে স্টেশন থাকলে সেখানে খাবার ও পানীয়ের দোকান বন্ধ থাকবে। মাটির ওপরের স্টেশন থাকলে সে দোকান খোলা থাকবে। যথাযথ স্যানিটাইজ করার পরই প্রতিটি দোকান খোলা যাবে। স্টেশন সুপারিন্টেন্ডেন্ট ঘরে ২ জনের বেশি থাকা যাবে না। অ্যাপ্রন ও ক্যাপ পড়ে থাকতে হবে হাউজ কিপিং সদস্যদের।