দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: করোনার জেরে এতদিন বন্ধ ছিল স্কুল,কলেজ,অফিস আদালত থেকে শুরু করে হাট-বাজার। তবে আস্তে আস্তে পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হচ্ছে। নিউনরর্মালে ফিরছেন সাধারণ জনগন।এর জেরেই প্রায় মাস ছয় পর খুলতে চলেছে হাওড়ার জনপ্রিয় হাট মঙ্গলা।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ এবং লকডাউনের জেরে মার্চ মাসের ২২ তারিখ থেকে বন্ধ হয়েছিল এশিয়ার এই দ্বিতীয় বৃহত্তর হাটটি। আনলক পর্ব থেকেই এই হাট খোলার আবেদনের সঙ্গে আন্দোলনও শুরু করেছিলেন হাটের ছোটবড় সমস্ত ব্যবসায়ীরা৷ আর এই আবেদনকে প্রাধান্য দিয়ে হাওড়া জেলাশাসকের তরফে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়। ওই টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের মতামত নিয়ে এই হাট খোলার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করা হয়।
আগামী ১৯ তারিখ খোলা হবে হাওড়া হাট। তবে তা খোলার ক্ষেত্রে বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে৷ বলা হয়েছে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এই হাট স্যানিটাইজ করতে হবে, প্রত্যেক ক্রেতা এবং বিক্রেতার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক৷ জেলা প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে ‘হাট চালু হলেও আগের মতো তিনদিনের বদলে মাত্র এক দিন হাট খোলা থাকবে৷ তবে শুধু মাত্র শনিবার চলবে সারারাত বেচাকেনা৷
প্রতি শনিবার রাত ৯টা থেকে পরেরদিন (রবিবার) সকাল ৬টা পর্যন্ত হাট খোলা থাকবে৷ রাস্তায় কোন ব্যবসায়ী কে বসতে দেওয়া হবে না, শুধু মাত্র স্থায়ী দোকানীরাই ব্যবসা করতে পারবেন’। পুজোর আগে হাট খোলায় বেজায় খুশি সেখানকার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।তবে হাট খোলার দিন এবং তার সময় নিয়ে তারা অখুশি।
জেলা প্রশাসনের তরফে আরোও জানানো হয়েছে যে, হাওড়া জেলা শাষক দফতর, হাওড়া হাসপাতাল সংলগ্ন সমস্ত এলাকায় কোন রকম জমায়েত করতে দেওয়া যাবে না, এই এলাকায় রাস্তায় বসা অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের জন্যেও অন্যত্র যায়গা খোঁজা হচ্ছে। তবে পুজোর আগেই তাদের জন্যে ব্যবসার যায়গা করে দেওয়া হবে’৷
তবে এই ঘোষণার পরেও ব্যবসায়ীরা প্রশ্ন তুলেছেন যে, সারারাত ধরে হাট খোলা থাকলে তাদের বিক্রি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে৷ যেখানে কয়েক কোটি টাকার লেনদেন চলবে সেখানে রাতের অন্ধকারে সঠিক নিরাপত্তা ছাড়া কি করে ব্যবসা সম্ভব। অন্য দিকে ক্রেতারাই বা যাতায়াত করবে কিভাবে? যদিও এই প্রশ্ন ও সমস্যা গুলি জিইয়ে রেখেই হাট খোলার বিষয়ে অনড় সেখানকার প্রশাসন। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়ে রেখেছে ছোট ও অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের সংগঠন।