দ্য ক্যলকটা মিরর ব্যুরো: দক্ষিণ-পূর্ব রেলের (এসইআর) জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জয় কুমার মোহান্তি শুক্রবার বলেন, ট্রেন পরিষেবা পুনরায় চালু করার পরিকল্পনা করতে তার ডিভিশন এবং পূর্ব রেল শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাথে দেখা করবে।
তিনি বলেন- “রাজ্য সরকারও লোকাল ট্রেন চালানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। আমরা শীঘ্রই রাজ্য কর্তৃপক্ষের সাথে একটি বৈঠক করব। একবার আমরা পরিষেবা পুনরায় শুরু করলে, আমরা অবশ্যই মেট্রো রেলের মত ডিজিটাইজেশন কে উন্নীত করব। এটি রাজ্যের সাথে সমন্বয় রেখে দক্ষিণ-পূর্ব রেল ও পূর্ব রেলের একটি যৌথ পরিকল্পনা হতে হবে। ধীরে ধীরে এই সেবা চালু করা হবে।”
মার্চ মাসের ২৫ তারিখ ছিল দেশজুড়ে জনতা কার্ফুর দিন। সেই দিন থেকেই দেশজুড়ে বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত রকমের ট্রেন পরিষেবা। তার মধ্যে যেমন এক্সপ্রেস ট্রেন, মেল ট্রেন, ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ছিল ঠিক তেমনি ছিল লোকাল ট্রেনও। পরে দেশের নানা প্রান্তে আটকে পড়া মানুষদের জন্য মূলত পরিযায়ী শ্রমিক, পর্যটক, রোগী, পড়ুয়াদের জন্য রেলমন্ত্রক বিশেষ ট্রেন পরিষেবা চালু করে যা এখনও চলছে। এমনকি তাঁদের সংখ্যা কিছুটা বাড়ানোও হয়েছে। প্রথম দিকে এগুলি শ্রমিক স্পেশ্যাল নামে চালানো হলেও পরে সেগুলিকে কোভিড স্পেশ্যাল হিসাবে চালানো হচ্ছে। একই সঙ্গে রেলের নিজস্ব কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য ও জরুরি পরিষেবার মানুষদের যাতায়াতের জন্য শহরতলিতে কিছু লোকাল ট্রেন চালানো হচ্ছে ঠিকই কিন্তু তার সংখ্যা খুব কম। আমজনতার জন্য এখনও লোকাল ট্রেন চালু হয়নি। যদিও লোকাল ট্রেন চালুর দাবি দিন কে দিন জোরালো হচ্ছে।
গত ২৮ আগস্ট রাজ্য সরকার কলকাতা মেট্রোর পাশাপাশি সীমিত সংখ্যক লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়ার জন্য রেলের প্রতি আহ্বান জানায়। রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারপার্সন বিনোদ কুমার যাদবকে লেখা এক চিঠিতে স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, কোভিড-১৯ প্রোটোকল অনুসরণ করা নিশ্চিত করার জন্য পদ্ধতি বাস্তবায়নের পর ট্রেন পরিষেবা পুনরায় চালু করা যেতে পারে।
পরের দিন জারি করা আনলক ৪ এর নির্দেশিকায়, কেন্দ্র ৭ সেপ্টেম্বর থেকে মেট্রোরেল ধীরে ধীরে চালানোর অনুমতি দেয়, কিন্তু শহরতলির লোকাল ট্রেন পরিষেবা স্থগিত রাখে।
শুক্রবারের ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে, রেলের কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে আগামী মাসে দুর্গাপূজার আগে লোকাল ট্রেন আবার চালু হতে পারে। রাজ্যের সঙ্গে পরামর্শ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কর্মকর্তারা জানান, চলতি অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে বিভাগের কর্মক্ষমতা ভাগাভাগি করে নিয়ে কর্মকর্তারা জানান, এক বছর আগের তুলনায় কোভিড-১৯ মালবাহী লোডিং য়ের সংখ্যা ২৩.৮ শতাংশ কমে গেছে। প্রথম ত্রৈমাসিকে, ৩১.৩৪ মিলিয়ন টন পণ্য লোড করা হয়, যখন এক বছর আগে একই সময়ে এটি ৪১.১২ মিলিয়ন টন ছিল।
জুলাই মাসে লকডাউনের জন্যে পণ্য লোডিং পিছিয়ে যায়, যেখানে আগস্ট ২০১৯-এর তুলনায় এই সংখ্যা ৮.৭২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রেলের দক্ষিণ শাখার কর্মকর্তারা বলেছেন, পরিবহন ব্যবস্থা শিথিল করা এবং টার্মিনালে ভিড় কমাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।