দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: করোনা আবহে সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশে অনলাইনে ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। বাড়ি থেকেই অনলাইনে পরীক্ষা দিতে পারবেন পড়ুয়ারা। তবে চব্বিশ ঘণ্টা ধরে নয়, তিন ঘণ্টারই পরীক্ষা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে শনিবার এক আধিকারিক জানিয়েছেন স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষার জন্য তিন ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করা হবে। ।
উল্লেখ্য, আগামী ১’লা থেকে ১৮’ই অক্টোবর পর্যন্ত স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। ওই আধিকারিক জানান, ‘সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের পড়ুয়াদের তিন ঘণ্টার মধ্যেই উত্তর লিখতে হবে। যান্ত্রিক গোলযোগের কথা মাথায় রেখে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করা হতে পারে।’ আর এই সব বিষয়গুলো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে খুব শীঘ্রই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
বৈশ্বিক মহামারীর কারণে অনলাইনেই চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল সিইউ। তাদের সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, ইমেল, ওয়েবসাইট এবং হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্র হাতে পাবেন। তারপর সেই প্রশ্নের উত্তর লিখে অনলাইনেই উত্তরপত্র জমা দিতে হবে। যে পড়ুয়ারা অনলাইনে সড়গড় নন, তাঁরা কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে উত্তরপত্রের হার্ডকপিও জমা দিতে পারবেন। আর এই পুরো প্রক্রিয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুসৃত এই পন্থা কে ‘ওপেন বুক এগজামিনেশন’ বলা হয়।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) আপত্তি তোলে। কারণ চব্বিশ ঘণ্টা সময়ে পরীক্ষা দেওয়ার অর্থ বই দেখেই লেখা। সেইসঙ্গে ইউজিসি স্পষ্টভাবে জানায় যে এই প্রক্রিয়াকে পরীক্ষা বলে না, এটা ‘ওপেন ইউনিভার্সিটির’ পড়ুয়াদের মত ‘সেলফ অ্যাসেসমেন্ট’।
উচ্চশিক্ষা নিয়ন্ত্রক থেকে চিঠির পাওয়া পর তড়িঘড়ি বৈঠকে বসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল। সেখানেই সময়সীমা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে সূত্র মারফত খবর। সম্ভবত দু’এক দিনের মধ্যেই এই সময় পরিবর্তণ সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি।