দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: আদিকাল থেকেই বিজ্ঞানচর্চার সর্বস্তরে বাঙালীদের নাম প্রথম সারিতে। এককথায় বলা চলে বিজ্ঞান চর্চায় বাঙালিদের অবদান অনস্বীকার্য। বিজ্ঞানের জগতে কলকাতা থেকে বরাবরই দেশ তথা সারা বিশ্ব উপহার দিয়েছে নানান নতুন প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনা। এবার বিশ্বের প্রথম ১০০ বিজ্ঞান নগরীর তালিকাতেও স্থান পেল এই শহর কলকাতা’র তিলজলা নিকটস্থ ‘সায়েন্স সিটি’। এই তালিকাভুক্তিকরণ বাঙালী হিসেবে গর্বের।
করোনা পরিস্থিতিতেও এমন একটা খবর শহরবাসীর মন ভালো ও আনন্দে ভরিয়ে তোলার জন্য যথেষ্ট। গতকাল সকালে বাঙালীর খুশ মেজাজে আরও খানিকটা আনন্দের রঙ মেশালো এই খবর। উল্লেখ্য, গত বছরের থেকে এই বছর কলকাতা নিজেই নিজেকে অনেকখানি এগিয় নিয়ে গেছে। গতবার এই তালিকায় কলকাতার স্থান ছিল ১২১ নম্বরে, এই বছর তা গিয়ে পৌঁছেছে ৯৯-তে।
তবে শুধু কলকাতা নয়, এই ১০০’র তালিকায় স্থান মিলেছে বেঙ্গালুরুরও। কিন্তু গতও বছরের তুলনায় নীচে নামতে দেখা গিয়েছে তার স্থান। ৯৩ থেকে ৯৭-এ এসে দাঁড়িয়েছে বেঙ্গালুরু। অন্যদিকে, মুম্বই ১২৮ থেকে পৌঁছেছে ১৩২-এ এবং দিল্লি ১৪৫ থেকে এসে দাঁড়িয়েছে ১৬৩-এ। সেদিক থেকে দেখতে গেলে একমাত্র কলকাতাই এই বছর বিজ্ঞান প্রসারে অনেকটা উন্নত হয়েছে।
আরও পড়ুন : করোনা আবহে ঝাড়খণ্ডের গ্রামে অভিনব স্কুল
বিজ্ঞান নগরীর দিক দিয়ে একেবারে প্রথমদিকে রয়েছে বেজিং, নিউইয়র্ক, বস্টন, সাংহাই, ও সানফ্রানসিসকো। তবে স্বস্তির খবর এটাই যে, বিশ্বের এই সমস্ত তাবড় তাবড় শহরগুলির সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দিয়ে কলকাতার মুকুটেও যোগ হল আরও একটি পালক। এই তালিকা তৈরি করার জন্যে বিশ্বের প্রথম সারির প্রায় ৮২টি জার্নাল সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে ও তাদের সার্ভের উপর নির্ভর করেই এই তথ্য মিলেছে। এছাড়াও প্রায় ৬০০০-এরও বেশি বিজ্ঞানী গবেষকের সার্ভেতেও উঠে এসেছে এই তালিকা।
খবর টি পড়তে এখানে ক্লিক করুন : দেশীয় মঞ্চে জয় বঙ্গ সন্তানদের! বাঙালি বিজ্ঞানীদের হাত ধরেই আসছে ‘শান্তি স্বরূপ ভাটনগর সম্মান’
উল্লেখ্য, এই বছর বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে ‘শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার’ পাচ্ছেন মোট ৭ জন যাদের মধ্যে ৬ জনই বাঙালী। তাই সেদিক থেকে এই জোড়া খবর বাঙালীর কাছে সত্যিই অত্যন্ত গর্বের।