দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: টিটাগড় থানার অদূরে রবিবার ভরসন্ধ্যায় গুলিবিদ্ধ হন বিজেপি’র ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সদস্য মণীশ শুক্ল। তাঁকে লক্ষ্য করে আততায়ীয়া ১৩ থেকে ১৪ রাউন্ড গুলি করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি।
রবিবার ওই সময়েই ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ ওই বিজেপি নেতাকে আশঙ্কাজনক অবস্থাতে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর রাতে মৃত্যু হয়।
এই লোমহর্ষক ও ন্যাক্কারজনক খুনের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এদিন টুইটারে এক ভিডিও বার্তায় মণীশ শুক্ল’র মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্য বিজেপি’র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।


তিনি তাঁর ভিডিও বার্তায় রবিবারের সন্ধ্যেতে ঘটা হামলার তদন্ত সিবিআই এর হাতে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয়র অভিযোগের তীর, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। তিনি জানান পুলিশের ওপর তাঁদের আর কোনও বিশ্বাস নেই। কারণ, বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লকে টিটাগড় থানার সামনেই গুলি করে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। এর আগে সাংসদ অর্জুন সিং তাঁকে অভিযোগ করে জানিয়েছেন যে ব্যারাকপুরে তাঁর এবং তাঁর কর্মীদের জীবন নিয়ে সংশয় তৈরি হচ্ছে লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই।
অর্জুন সিং কৈলাস বিজয়বর্গীয়র কাছে এও অভিযোগে জানিয়েছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা এবং অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার অর্জুন ঠাকুরকে তাঁকে খুনের ‘সুপারি’ দিয়েছেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা খতিয়ে দেখারও দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, রাজ্য বিজেপি এই ঘটনার প্রতিবাদে কাল, সোমবার ব্যারাকপুরে ১২ ঘণ্টা বন্ধের ডাক দিয়েছে। এছাড়াও ব্যারাকপুর জুড়ে কাল একাধিক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দলের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিং, সাংসদ অর্জুন সিং এবং সাংসদ তথা রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ’রা নেতৃত্ব দেবেন বলে দলীয় সূ্ত্রে খবর।
তবে কে বা কারা মণীশ শুক্লকে গুলি করে খুন করলো তা নিয়ে এখনও ধন্ধে রয়েছে পুলিশ। পুলিশের সূত্রে খবর, তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিটি রোড জুড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। গোটা টিটাগড় এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।