দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: আজ থেকে অজানা কলকাতাকে নতুন করে চেনাতে শহরে প্রমোদভ্রমণের জন্য সূচনা করা হচ্ছে দুটি দোতলা বাসের তবে আপাতত যাত্রী পরিবহণের জন্য নয়। আপাতত ৫১ আসনের দোতলা বাস দুটি পুজো পরিক্রমা ও প্যান্ডেল হপিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হবে।
প্রায় ১০০ বছর পুরনো ইতিহাস হয়ে যাওয়ায় দোতলা বাস একদম নতুনত্ব ও আধুনিকতার মোড়কে ফিরল আবার কলকাতায়। উল্লেখ্য, ১৯২৬ সালে কলকাতার রাস্তায় প্রথম দোতলা বাস চলে। নানা সমস্যার জন্য সেই বাসের চাকা থামে ২০০৫-এ। আজ, মঙ্গলবার ফের শহরে চাকা গড়াবে দোতলা বাসের। আজই নবান্ন থেকে দুটি নীল-সাদা রঙের ডবল ডেকার বাস চলাচলের শুভ উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই পরিষেবার মাধ্যমে কলকাতায় পর্যটনে প্রসার ঘটানোই লক্ষ্য রাজ্য সরকারের। আপাতত ৫১ আসনের এই দোতলা বাস দুটি পুজো পরিক্রমা ও প্যান্ডেল হপিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হবে। পরে পর্যটকরা এতে করেই ঘুরে দেখবেন শহর কলকাতা।
কী কী রয়েছে এই বাসে? অত্যাধুনিক এই বাসে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় দরজা, চওড়া সিঁড়ি, মেট্রোর মতো গন্তব্য-চিহ্নিত বোর্ড, প্যানিক বটন, সিসি টিভি ইত্যাদি। পুরনো ডবল ডেকার বাসগুলিতে দুটি দরজা থাকলেও এটিতে থাকছে কেবল একটি। ৫১ সিটের এই বাসের ওপরতলায় থাকবে ১৬টি সিট। সেগুলি অবশ্যই খুব আরামদায়ক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় নীল-সাদা রঙে রাঙানো হয়েছে বাস দুটি। লণ্ডনের মত ছাদ-খোলা এই দুটি বাসই বিএস-৪ স্টেজের।
পশ্চিমবঙ্গ ভূতল পরিবহণ নিগম ৯০ লক্ষ টাকা খরচ করে বাস দুটি তৈরি করিয়েছে। জামশেদপুরের সংস্থা ‘বেবকো’এগুলি গড়ে তুলেছে । ধাপে ধাপে এরকম আরও ১০টি দোতলা বাস নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পরিবহণ দফতর। শহর দেখানোর পাশাপাশি আগামীদিনে যাত্রী পরিবহণেও দোতলা বাস ব্যবহার করা হবে কিনা তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতর সূত্রে কিছু জানা যায়নি। তবে দোতলা বাসের সাথে সাথে ইতিহাস ছুঁয়ে দেখতে পেয়ে বাঙালির মনে যে নস্টালজিয়া ফিরবে, তা এই বাসের ছবিতেই পরিষ্কার।
ছবি সৌজন্য : টুইটার