দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: রাজ্যবাসীকে শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের টুইটার হ্যান্ডেল এবং ফেসবুক পেজে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন,”বাংলার মা, মাটি, মানুষকে জানাই শুভ বিজয়ার আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। বড়দের জানাই প্রণাম, ছোটদের ভালোবাসা। মায়ের এবার যাওয়ার পালা। বিষাদের সুরে, মিষ্টি মুখে আসুন সকলকে বলি, আসছে বছর আবার হবে”।


টুইটারে লিখেছেন “বাংলার মা, মাটি, মানুষকে জানাই শুভ বিজয়ার আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। বড়দের জানাই প্রণাম, ছোটদের ভালোবাসা। মায়ের এবার যাওয়ার পালা। বিষাদের সুরে, মিষ্টিমুখে আসুন সকলে বলি, আসছে বছর আবার হবে।”
রাজ্যবাসীকে বিজয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বিজয়া দশমীর পুণ্য লগ্নে অসুভ শক্তির বিনাশের প্রার্থনা ধনকড়ের। টুইটে তিনি লেখেন, ”প্রথমসেবক হিসেবে রাজ্যবাসীকে শুভ বিজয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই। আসুরিক শক্তির বিনাশ হোক, বাংলা নবশক্তির উন্মেষবিন্দু হিসাবে প্রতিষ্ঠা পাক।”
এবছরের মতো শেষ বাঙালির শ্রেষ্ঠ উত্সব দুর্গাপুজো। মাকে ঘিরে এত আয়োজনের শেষ লগ্নে এসে তাই এখন শুধুই মন খারাপের পালা। তবুও বিষাদের মধ্যেই মাকে হাসি মুখে বিদায় জানাতে প্রস্তুত আম বাঙালি। সোমবার সকাল থেকেই শুরু হয় বিজয়ার তোড়জোড়।
গঙ্গার ঘাটগুলিতে কড়া নিরাপত্তা। এদিন বিশেষ করে বাড়ির পুজোগুলির বিসর্জন হয়। তবে বেশ কিছু বারোয়ারী পুজোরও প্রতিমার বিসর্জন দেওয়া হয়। সোমবার দশমীতে কলকাতার ২৪টি ঘাট নির্দিষ্ট করা হয়েছে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য। এদিন প্রায় আঠারোশো প্রতিমা বিসর্জন হওয়ার কথা।
ইতিমধ্যেই বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় শুরু হয়েছে। চলছে মিষ্টিমুখ-কোলাকুলি। আজ ঘরে ফিরবেন উমা। বিষাদের সুর বাংলাজুড়ে। আবার এক বছরের অপেক্ষা। সোমবার রাজ্যবাসীকে বিজয়ার প্রীতি, শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন জানলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বিজয়া দশমীর এই লগ্নে সব অসুভ শক্তির বিনাস চেয়ে প্রার্থনা ধনকড়ের।
করোনা পরিস্থিতিতে নানা বিধিনিষেধের বেড়াজালে এবার শারদোত্সব কাটছে। চারদিনের পুজোর শেষে আজ বিসর্জনের পালা। তাতেও নানা নিয়ম। হচ্ছে না সিঁদুরখেলা, বিসর্জনের শোভাযাত্রা। পুজো শেষ হওয়ার বিষাদের সঙ্গে মিশেছে প্রাণ খুলে আনন্দ না করতে পারার দুঃখ। সব মিলিয়ে এখন বাংলার একটাই প্রার্থনা আসছে বছর আবার হবে।