দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: রাজ্যের বেসরকারি স্কুলে যে সব পড়ুয়া পাঠ্যরত তাদের অভিভাবকদের জন্য স্বস্তির খবর। ফি মকুব নিয়ে হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রীম কোর্টে করা বেসরকারি স্কুল গুলোর মামলাতে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। স্বাভাবিক ভাবেই এই রায়ে কিছুটা স্বস্তি অভিভাবক মহলে।
উল্লেখ্য, ফি বৃদ্ধি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে অভিভাবকদের তরফে যে মামলা দায়ের হয়েছিল তাতে আদালত মূলত: দুটি বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছিল। প্রথমত, এই অর্থবর্ষে অতিরিক্ত ফি বৃদ্ধি করা যাবে না এবং দ্বিতীয়ত, লকডাউনের জন্য প্রদেয় ফি’র ২০ শতাংশ মুকুব করতে হবে। শুধু তাই নয় ওই রায়ের সাথে সংযোজন করে কলকাতা হাইকোর্ট আরও বলেছিল যে, কোনও অভিভাবক যদি ২০ শতাংশের চেয়েও বেশি ফি মুকুবের আবেদন করেন তাহলে তা খতিয়ে দেখার জন্য স্কুলগুলিকে কমিটি গড়তে হবে।
আজ মূলত: দুটি বিষয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাত্, ফি বাড়ানো তো যাবেই না বরং ২০ শতাংশ ফি মুকুব করতে হবে। তবে হাইকোর্ট এর রায়ে কোনও অভিভাবক যদি ২০ শতাংশের চেয়েও বেশি ফি মুকুবের আবেদন করেন তাহলে তা খতিয়ে দেখতে হবে বলে যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল , সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এই ফি বৃদ্ধি নিয়ে শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন জায়গায়তুলকালাম কাণ্ড হয়েছিল। বারাসত, মধ্যমগ্রাম, বেহালার বিভিন্ন স্কুলের সামনে অবরোধ, বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন অভিভাবকরা। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্কুলগুলির কাছে মানবিক হওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও বিশেষ বরফ গলেনি। শেষমেশ উচ্চ আদালত পর্যন্ত গরিয়েছিল এই মামলা। আর এবার শীর্ষ আদালতে সেই নাগরিকদের জয় ই হলো।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত বোর্ডের ১৪৫ টি স্কুলকে ওই নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকটি স্কুল সুপ্রিম কোর্টে যায়। তবে সেখানেও পরিস্থিতি একই রইল। শেষ হাসি হাসলেন অভিভাবকরাই। হাইকোর্ট বলেছিল, লকডাউন পর্বে স্কুলে গিয়ে ল্যাব কিংবা প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস করেনি পড়ুয়ারা। স্পোর্টসের ক্লাসও হয়নি। ফলে সেসব ফি মুকুব করতে হবে। স্কুলের যুক্তি ছিল, শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের বেতন তাহলে তারা কী ভাবে দেবে? এই প্রশ্নে আদালত স্পষ্ট বলেছিল, বেতন এবং বর্ধিত বেতন ছাত্রদের ফি বাড়িয়ে তোলা যাবে না। স্কুল কতৃপক্ষকে লভ্যাংশ কমিয়ে সেখান থেকেই ওই বিভাগে অর্থের যোগান দিতে হবে। এমনকি পাঁচ শতাংশের বেশি লাভ করা যাবে না বলেও নির্দেশ দেয় আদালত।