দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: মুম্বইয়ের ধাঁচে লোকাল ট্রেন (Local Train) চালানো হোক, এমনটাই চাইছেন পূর্ব রেলের কর্তাদের একাংশ। তবে সকলেই নন শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষজনের জন্য চালানো হবে সেই ট্রেন। এই প্রসঙ্গে শিয়ালদহের ডিআরএম এসপি সিং জানিয়েছেন, রাজ্যে ইমারজেন্সি কাজে যুক্তদের ট্রেনে চড়ার জন্য কিছু সংখ্যক লোকাল চালানোর অনুমতি দিক রাজ্য।
প্রসঙ্গত, আনলক পর্যায়ের পঞ্চম পর্বে বহু অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানই খুলে গিয়েছে। আর সেখানে যাতায়াতে মানুষ সড়ক পরিবহনের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় বাসের যোগান কম। বহু মানুষ নিরুপায় হয়ে রেলকর্মীদের জন্য বরাদ্দ ট্রেনে চড়ছেন। এনিয়ে RPF এর ধরপাকড় আর তা নিয়ে স্টেশনে স্টেশনে বিক্ষোভ, রেলের সম্পত্তি নষ্টের মত ঘটনা চলছেই। এই সমস্যার সমাধানে পূর্ব রেলের জিএম জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের জন্য কিছু ট্রেন চালাতে চেয়ে রাজ্যের কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাঁর দাবি রাজ্যের পক্ষ থেকে এখনো কোনো উত্তর আসেনি।
রেল তাদের বিবৃতিতে স্পষ্ট জানিয়েছে যে রাজ্যের সবুজ সংকেত ভিন্ন সাধারণের জন্য লোকাল ট্রেন চালাতে পারবে না রেল। যেহেতু রাজ্য কোনো উত্তর দিচ্ছে না তাই রেল কর্তাদের একাংশ চাইছেন, সবার জন্য নয়, অন্তত ইমারজেন্সি কাজে যুক্ত মানুষদের জন্য ট্রেন চলুক। আর তা চালানো হোক মুম্বইয়ের (Mumbai) ধাঁচে।


প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে শিয়ালদহে ১৩০টি ও হাওড়ায় ৫২টি ট্রেন রেলকর্মীদের জন্য ও শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন হিসেবে চলাচল করছে। এই সংখ্যাটাকে কিছুটা বাড়িয়ে ‘কারা কারা’ ট্রেনে চড়তে পারবেন এটা রাজ্য নির্ধারণ করে দিলে এই ট্রেন চালানোর বিষয়ে রেলের সমস্যা কিছুটা কমত। পাশাপাশি বহু ইমারজেন্সি কাজে যুক্ত মানুষ উপকৃত হতেন। রেলও নির্ধারিত তালিকার বাইরে কেউ ট্রেনে চেপে এলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারবে।
এর আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও জনতা মহল থেকে পুজোর মরশুমে লোকাল ট্রেন চালানোর বহু দাবি উঠে এলেও রাজ্য সে দাবির সমর্থনে রেলকে ট্রেন চালানোর কোনও আবেদন বা নির্দেশ দেয়নি। এমনকি রেলদপ্তর ও ট্রেন চালানো নিয়ে রাজ্যের অনুমতি সম্পর্কিত কোনও পদক্ষেপ পায়নি। ফলে লোকাল ট্রেন চলেনি। পুজোর প্রেক্ষিতে করোনার সংক্রমণ কতটা প্রশস্ত তা অনুধাবন করে রাজ্য দীপাবলির আগে কোনও রকম ছাড়পত্র দেবে কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়।