দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: আজ ভোরে তমলুকের টুলা গ্রামের পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে পাথরের একটি প্রাচীন মূর্তি। আর এই মূর্তি উদ্ধার নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে টুলা গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে। সূত্রের খবর অনুযায়ী অলৌকিক ঘটনা বলে গ্রামে গুজব ছড়ালেও, এই মূর্তি’র উত্স সন্ধান অব্যহত রয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের ওই গ্রামে মূর্তিটি কে ইতিমধ্যেই পুজো করাও শুরু হয়ে গিয়েছে। ভিড় জমিয়েছেন স্থানীয় মানুষ সহ আশপাশের গ্রামের মানুষও। ফুল-চন্দন-ধূপ জ্বালিয়ে পুজো চলছে। প্রণামী বাক্সে জমা পড়েছে বেশ মোটা অঙ্কের টাকা। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, গ্রামেরই বাসিন্দা আনন্দ মোহন সাহু প্রথমে পুকুরে কিছু একটা ভাসতে দেখেন। কৌতূহল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে দেখেছেন ঠাকুরের মূর্তির মতো দেখতে পাথরের একটি বিগ্রহ ভাসছে পুকুরে।
তবে আনন্দবাবু একার হাতে ওই মূর্তি জল থেকে টেনে তুলতে পারেননি। শেষে তাঁর বাড়ি থেকে কয়েকজনকে ডেকে এনে মূর্তি তুলে বাড়ির তুলসী মঞ্চের পাশে রাখেন। সারা গ্রামে এই খবর প্রচার হতে বেশি সময় লাগেনি। কানাকানি খবর পৌঁছতেই ওই মূর্তি দেখার জন্য আনন্দবাবুর বাড়িতে উপচে পড়ে ভিড়।
যদিও গ্রামবাসীদের অনেকের কথায়, পাথরের মূর্তি তো জলে ভাসার কথা নয়। ভারী বলে ডুবে থাকার কথা। অতএব এই মূর্তি যখন ভেসে উঠেছে তাহলে নিশ্চয় অলৌকিক বিষয় রয়েছে এতে। স্বেচ্ছায় দেখা দিয়েছেন ঈশ্বর। যদিও এ কথার বৈজ্ঞানিক কোনও ভিত্তি নেই। এমনকি বিশেষজ্ঞরা এক্ষেত্রে যতক্ষণ না মূর্তি’র বয়স অনুধাবন করছেন ততক্ষণ এটার সঠিক উত্স বা বংশ পরিচয় জানা কঠিন।
তবে নতুন বিগ্রহের পুজোয় মেতেছেন গ্রামবাসীরা। বেশ আড়ম্বরের সঙ্গেই চলছে পুকুর থেকে খুঁজে পাওয়া ওই পাথরের মূর্তির। তবে তা কোন দেবতার সে ব্যাপারে অবশ্য কিছু জানা যায়নি এখনও। তবে অনেকের মতে এই মূর্তি প্রাচীন যুগের নিদর্শন হতে পারে। আশেপাশে এলাকায় কোনও নৃতত্ত্ব বা প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের কোনও খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে এই মূর্তি চোরাই জিনিস কিনা সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বা এই মূর্তি গ্রামেরই কারও বাড়ির পূর্ব পুরুষের সম্পত্তি কিনা সেটাও জানার চেষ্টা চলছে। এক্ষেত্রে সাহু বাবু কেও সন্দেহের লিস্টে রাখছেন অনেকেই। এটা আদৌ পুরোনো মূর্তি না টাকা আয়ের নতুন ফন্দি সে বিষয়েও তদন্ত চলছে।
তথ্য সুত্র: দ্য ওয়াল