দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: মহামারির কারণে এবছরের পুজোটা একটু অন্যরকম কাটলেও, মায়ের চলে যাওয়াতে কিন্তু সকলেরই মুখ ভারাক্রান্ত অন্যান্য বছরের মতোই। তবে এই দুঃখ-কষ্ট মুছে দিতে সকলের ঘরে আসতে চলেছেন দেবী লক্ষ্মী। মা দুর্গার বিদায়ের বার্তা ভুলে আবার আনন্দে মেতে উঠবেন সকলে। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঘরে ঘরে অনুষ্ঠিত হবে কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা।
বাংলায় দুর্গাপূজার ঠিক পরেই অনুষ্ঠিত হয় কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা, অর্থাৎ শারদীয় দুর্গোৎসবের পর প্রথম পূর্ণিমা তিথিতে এই পূজা হয়ে থাকে। দেবী লক্ষ্মী হলেন হিন্দুধর্মের ধন, সম্পদ ও সৌভাগ্যের দেবী। তাঁর অপর নাম মহালক্ষ্মী এবং বাহন হল পেঁচা। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক লক্ষ্মীপূজা কে কোজাগরী বলার কারণ কী?
শাস্ত্র মতে, কোজাগরী শব্দটি এসেছে ‘কো জাগর্তি’ থেকে, এর অর্থ ‘কে জেগে আছো’। কথিত রয়েছে, মা লক্ষ্মী এই পূর্ণিমার রাতেই নাকি জগৎ পরিক্রমায় বেরোন৷ সেই রাতে যে ব্যক্তি জেগে থাকেন তাঁকে দেবী ধনসম্পত্তি দান করেন৷ তাই, ভক্তরা সারারাত জেগে থাকেন দেবীর আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য। এই দিন সন্ধ্যেবেলা থেকেই বাংলার প্রতিটি ঘর মুখরিত হয়ে ওঠে শঙ্খধ্বনিতে।
লক্ষ্মীপুজোর তাৎপর্য
১) দেবী লক্ষ্মী ভগবান বিষ্ণুর পত্নী, তিনি ছয়টি বিশেষ গুণের দেবী। তাঁর অপর নাম হল মহালক্ষ্মী।
২) শাস্ত্র মতে, মা লক্ষ্মী হলেন ধন-সম্পত্তির দেবী। তাই, ধন সম্পদের আশায় এবং পরিবারের মঙ্গল কামনায় ঘরে ঘরে দেবীর পুজো করা হয়ে থাকে।
৩) ধন ছাড়াও দেবী লক্ষ্মী জ্ঞান, জয়, খ্যাতি, বীরত্ব, স্বর্ণ, উচ্চভাবনা, অন্যান্য রত্নরাজি, শস্য, সুখ, বুদ্ধি, সুসন্তান, সৌন্দর্য, উচ্চাশা, সাহস ও শক্তি, নৈতিকতা, সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘজীবন প্রদান করেন।
৪) দেবীর পূজা করলে মানুষ সার্বিকভাবে সুন্দর ও চরিত্রবান হন।
৫) ধান, চাল, অন্ন, খাদ্যশস্য হল দেবী লক্ষ্মীর প্রতীক। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন যে, যারা খাদ্য অপচয় করে, তাদের ওপর দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ থাকে না।
৬) ভাদ্র সংক্রান্তি, পৌষ সংক্রান্তি, চৈত্র সংক্রান্তি, আশ্বিন পূর্ণিমা ও দীপাবলীতে লক্ষ্মী দেবীর পুজো করা হয়।
আজ বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে পূজিত হচ্ছে দেবী মা লক্ষ্মী। আমাদের ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোর ফটোগ্রাফার কুন্তল চক্রবর্তী’র ক্যামেরাতেও ধরা পড়ল এমনই কিছু লক্ষ্মীপূজা’র মুহূর্ত –
প্রখ্যাত শিল্পী প্রদীপ রুদ্রপালের বাড়ির পুজো: