দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: দুর্গোত্সবে যেমন হাইকোর্টের তরফে একাধিক নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল তেমনি জগদ্ধাত্রী পুজোর আগে ফের একবার নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য প্রশাসন। কৃষ্ণনগর ও চন্দননগরে কীভাবে জগদ্ধাত্রী পুজো হবে তা নিয়ে দেওয়া হয়েছে একাধিক নির্দেশিকা।
উল্লেখ্য, জগদ্ধাত্রী পুজো ঘটা করে পালন করা হয় চন্দননগরে আর কৃষ্ণনগরেও। বিসর্জনের জন্য দিনভর আয়োজন করা হয় একাধিক শোভাযাত্রার। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতিতে আর দিনভর শোভাযাত্রা করা যাবে না। সরকার এবার সীমিত সময়ের জন্যে শোভাযাত্রা সম্মতি দিচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, দুপুর ২টো থেকে রাত ৯টার মধ্যে সব শোভাযাত্রা শেষ করতে হবে।


শুধু তাই নয়, দুর্গাপুজোয় মতই মন্ডপ ও দর্শনার্থী নিয়ে রয়েছে একাধিক নির্দেশিকা। দুর্গা পুজোতে যেমন তিনদিক খোলা পুজো মণ্ডপ তৈরি নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তেমনই জগদ্ধাত্রী পুজোতেও মন্ডপ খোলামেলা রাখতে হবে।
মণ্ডপের মধ্যে পর্যাপ্ত মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। পূজা কমিটি দ্বারা নিযুক্ত ভলান্টিয়ারদের সবদিকে নজর রাখতে হবে। মণ্ডপে অঞ্জলির ব্যবস্থা না রাখলেই ভাল হয়। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মণ্ডপের বাইরে ১০ মিটার দূর পর্যন্ত ব্যারিকেড করতে হবে।
মণ্ডপে একসঙ্গে ২৫ জনের বেশি ঢুকতে পারবেন না। ভিতরে যাঁরা ঢুকবেন, তাঁদের নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াতে হবে। এছাড়া মণ্ডপের ভিতরে ঢাকি ছাড়া আর কোনও বাজনার বন্দোবস্ত রাখা যাবে না।


প্রতীমা বিসর্জনের ক্ষেত্রেও একাধিক নির্দেশিকা মানার কথা বলা হয়েছে। জানানো হয়েছে, বিসর্জনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র পুজো কমিটির সদস্যরাই থাকবেন অন্য কেউ। প্রতীমা নিরঞ্জনের ঘাটে ১০ জনের বেশি থাকা যাবে না। দুপুর ২টো থেকে রাত ৯টার মধ্যে হবে সব প্রতিমা বিসর্জন করে দিতে হবে। প্রতিটি পুজো কমিটিকে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হবে। সেই নিয়মের মধ্যেই সব করতে হবে। নিয়ম না মানলে প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলেও ওই নির্দেশিকাতে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।