দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: দুর্গাপুর ব্যারেজের লকগেট ফের ভেঙে গিয়েছে। ফিরে আসছে ২০১৭ সালের ভয়ঙ্কর স্মৃতি। সে বার ১ নম্বর লকগেট ভেঙে গিয়ে সব জল বেরিয়ে জলশূন্য হয়ে পড়েছিল ব্যারাজ। আর শুক্রবার রাতে ভাঙল ৩১ নম্বর লকগেটের একাংশ। হাজার হাজার কিউসেক জল বেরিয়ে যাচ্ছে। আপতকালীন সংকেত সহ খবর দেওয়া হয়েছে সেচ দফতরে। কিন্তু এখনও ভাঙা গেট মেরামতির কাজ শুরু হয়নি বলেই সূত্রের খবর। এমনকি ক্ষতির বহর দেখে দিশেহারা ইনহাউজ ইঞ্জিনিয়াররা।
জলের জন্য পশ্চিম বর্ধমান ও বাঁকুড়া মূলত: দুর্গাপুর ব্যারেজের ওপরই নির্ভরশীল। দুর্গাপুর ও আসানসোল পুরসভা এলাকায় বাড়ি বাড়ি জল সরবরাহ করা হয় এখান থেকেই। এভাবে ব্যারেজ থেকে হাজার হাজার কিউসেক জল বেরিয়ে যাওয়ায় একদিকে যেমন ব্যারেজ জলশূন্য হওয়ার একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, তেমনই বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকায়।


আপতকালীন পরিস্থিতি অনুধাবন করে শনিবার সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে রয়েছেন দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্তি, পুরনিগমের ৪ নম্বর বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় ও দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক বিশ্বনাথ পারিয়াল। এই ব্যারেজ ভাঙার জেরে বর্ধমান ও বাঁকুড়া শহরে যাতে পানীয় জলের সঙ্কট না দেখা দেয় তার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে আশ্বস্ত করছেন মেয়র। সেইসাথে তাঁর আবেদন এই মুহূর্তে যাতে কেউ অযথা জল অপচয় না করেন। আর তা নিয়ে সচেতন করতে শহর জুড়ে মাইকিং চলছে।
অন্যদিকে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার এই লকগেট ভেঙে যাওয়ার ঘটনায় সরাসরি রাজ্য সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন। তাঁর দাবি, তিন বছর আগে ঘটে যাওয়া সেই দু:খজনক ঘটনা থেকেও শিক্ষা নেয়নি সেচ দফতর। যদিও এই বিষয়ে বিধায়ক বিশ্বনাথ পারিয়াল জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে ওই ঘটনার পর লকগেট মেরামতির কাজ পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যেই শুক্রবার রাতে ঘটে গেল এই দুর্ঘটনা।