দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: কোভিডের বিরুদ্ধে লরাইয়ে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিতে করোনা ভ্যাকসিন প্রাপকদের নাম স্বাস্থ্য ভবনে জমা দিতে শুরু করল সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলি। সূত্রের খবর অনুযায়ী শনিবার পর্যন্ত স্বাস্থ্যভবনে ২৫ হাজারের বেশি নাম জমা পড়েছে। মূলত কলকাতার সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলি এই নামের তালিকা জমা দিয়েছে।
কাদের নাম রয়েছে এই তালিকাতে? সূত্রের খবর জমা করা এই তালিকায় চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াও নাম রয়েছে ডাক্তারি পড়ুয়া এবং হাসপাতালে ডিউটি করা পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মীদেরও। অন্যদিকে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে বাকি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নামের তালিকা চলে আসবে।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে কেন্দ্রীয় সরকার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে রাজ্যগুলিকে ভ্যাকসিন প্রাপকদের নামের তালিকা তৈরি করতে বলেছিল। কেন্দ্রের স্পষ্ট নির্দেশ প্রথম পর্বে চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ভ্যাকসিন পাবেন। তবে কেন্দ্রের ওই নির্দেশ ছাড়াও রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মী-সহ প্রথম সারির কোভিডযোদ্ধাদেরও প্রথম পর্বের ভ্যাকসিন প্রাপকদের তালিকায় নাম রাখতে চায়।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মিশন ও রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর রাজ্যের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল এবং পুরসভার কাছে চিকিত্সক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নাম পাঠানোর প্রস্তাব দেয়। সেই নির্দেশ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নিয়ম মেনে শনিবার ৩১ অক্টোবর রাজ্যের বেশ কিছু সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ চিকিত্সক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নাম রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে পাঠিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য দপ্তরের এক শীর্ষ কর্তার মতে, ‘এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মীর নাম জমা পড়েছে। আগামী সপ্তাহে বাকি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নাম পাঠানো হবে।’ অন্যদিকে কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, প্রথমসারির করোনাযোদ্ধাদের নামের তালিকা তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে। আগামী সপ্তাহেই ওই তালিকা পাঠানোর চেষ্টা হবে।
দ্য ক্যালকাটা মিরর সূত্র জানিয়েছে কলকাতা পুলিশের যেসব কর্মী হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন তাঁদের নামও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চিকিত্সক বা নার্সের মতো হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ানদের নামও এই তালিকার মধ্যে রাখা হয়েছে। তবে চিকিত্সক ও নার্সদের নাম ভ্যাকসিন প্রাপকদের তালিকায় রাখা হলেও আপাতত তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নাম নথিভুক্ত হচ্ছে না।
এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে খবর, সেখান থেকে সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার নাম স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো হয়েছে। এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিত্সক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মী সহ প্রায় সাত হাজার নাম পাঠানো হয়েছে। আরজিকর নাম পাঠিয়েছে প্রায় চার হাজার জনের। এম আর বাঙুর থেকে সাতশো ও বেলেঘাটা আইডি থেকেও সাতশো জনের নাম জমা পড়েছে বলে সূত্রের খবর।