দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: পুজোর গন্ধ এখনো বাতাসে অথচ সেই গন্ধ ছাপিয়ে ভোটের আগাম প্রস্তুতিতে রাজ্য সরকার। এবার জেলা স্তরে রাজনৈতিক উত্থানপতন দেখে ফের প্রশাসনিকস্তরে রদবদল আনলো রাজ্য সরকার। সোমবার রাজ্যের ‘অভিমানী’ পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর অঞ্চল হিসেবে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুর সহ পাঁচ জেলার জেলাশাসক পদে রদবদল আনল নবান্ন।
সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের নতুন জেলাশাসক পদে আসছেন নদিয়ার জেলাশাসক বিভু গোয়েল। আমলা মহলে যিনি কড়া ধাঁচের আধিকারিক হিসেবেই পরিচিত। উত্তর ২৪ পরগনার নতুন জেলাশাসক হয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ দফতরের যুগ্মসচিব সুমিত গুপ্ত। পূর্ব মেদিনীপুর ও উত্তর ২৪ পরগনার দুই বিদায়ী জেলাশাসক পার্থ ঘোষ ও চৈতালি চক্রবর্তীকে অবশ্য কোনও নতুন জেলার পদে নিয়োগ করা হয়নি।
নবান্ন থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাজ্যের ১১ জন আইএএসের দায়িত্বেরও বদল ঘটানো হয়েছে। সেই সঙ্গে পাঁচ জেলার জেলাশাসক পদেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরিবেশ সচিব বিবেক কুমারকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ মূল্যায়ণ (Evaluation) বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের প্রধান সচিব এ সুব্বাইয়া মেদিনীপুর ডিভিশনের কমিশনারের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন। শিল্প, বাণিজ্য ও শিল্পোদ্যোগ দফতরের সচিব ও শিল্পোন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বন্দনা যাদবকে পিই অ্যান্ড আইআর দফতরের সচিবের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পৃথা সরকারকে প্রেসিডেন্সি বিভাগের কমিশনার করা হয়েছে।
এদিনের রদবদলে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতীকে বীরভূমের জেলাশাসক পদে পাঠানো হয়েছে। বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসুকে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির জেলাশাসক পদে বদলি করা হয়েছে। শিল্পোন্নয়ন নিগমের কার্যনির্বাহী পরিচালক এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ দফতরের যুগ্মসচিব সুমিত গুপ্তকে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক করা হয়েছে।
অন্যদিকে রাজ্য কৃষি বিপণন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শশাঙ্ক শেঠিকে দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক পদে পাঠানো হয়েছে। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক অভিষেক কুমার তিওয়ারিকে উচ্চ শিক্ষা দফতরের যুগ্মসচিব পদে নিয়ে আসা হয়েছে। নদিয়ার জেলাশাসক বিভু গোয়েলকে পাঠানো হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পদে। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক পুনাবালাম এস’কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে ভূমি ও ভূমিসংস্কার দফতরের যুগ্মসচিব করা হয়েছে।
এককথায় রাজ্য রাজনীতিতে আসু পরিবর্তণ লক্ষ্য করে দাবার গজ ও নৌকা সাজচ্ছেন রাজ্য সরকার তেমনটাই মনে করছেন বিরোধীরা। সেই সাথে স্পর্শকাতর অঞ্চল গুলিতে আগে থেকেই প্রশাসনিক রদবদল করে রাখলে পরে নিরবচন কমিশনের প্রস্তাব এলে পুনর্বহাল করতে সুবিধা হবে এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। তবে নবান্ন সূত্রে খবর এই বদলি সম্পুর্ণ রুটিন বদলি।