দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: জ্বর আসার ৪ থেকে ৫ দিন কেটে গেলেই শরীরে নানা ধরণের সমস্যা শুরু হয় যার ফল মারাত্মক হতে পারে, তাই জ্বর হলেই করোনা পরীক্ষা করান। এমনটাই নির্দেশ হতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। উল্লেখ্য, রোগীরা সব নির্দেশ মানছেন কিনা বা সঠিক সময় সঠিক চিকিত্সা পাচ্ছেন কিনা, তার জন্যই সচেষ্ট রাজ্যের চিকিত্সক মহল। এবার একবারে তৃণমূল স্তরে এই চিকিত্সা ব্যবস্থা পৌঁছে দিতে সরকারের সঙ্গে হাত হাত মিলিয়ে কাজ করবে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ (IMA)।
সূত্রের খবর এবার সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত চিকিত্সকরা একযোগে হোম আইসোলেশনে থাকা করোনা আক্রান্তদের কাছে পৌঁছে যাবেন। আর তা অবশ্যেই ফোন বা ভিডিও মারফত্। দেবেন তাঁদের সুস্থ হয়ে ওঠার টিপস। তাই একেবারে কোনওরকম বিলম্ব না করেই জ্বর আসার ১ দিনের মধ্যেই করতে হবে করোনা পরীক্ষা।
মূলত: ঘরে থেকে যাঁদের চিকিত্সা চলছে, তাঁদের যেন কোনও ঝুঁকির মুখে পড়তে না হয় এবং একই সঙ্গে সবসময় মেলে চিকিত্সকের পরামর্শ, এই উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে এসেছে IMA। অনেক ক্ষেত্রেই করোনা পরীক্ষার পর বাড়ির চিকিত্সক (ফ্যামিলি ফিজিশিয়ান) বা প্রাইভেট প্র্যাকটিসরত চিকিত্সকদের শরণাপন্ন হন আক্রান্তরা। এর ফলে সরকারিভাবে এদের শারীরিক অবস্থার সঠিক খবর পৌঁছতে দেরি হয়।
অনেকক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন ছিল অথচ গাইডেন্সের অভাবে তা হয় নি। এতে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। মৃত্যুর হার কমাতে এবং প্রতিনিয়ত ঘরে বসেই যাতে চিকিত্সা মিলে, তা ঠিক করবে এই নতুন চিকিত্সা মডেলে। তবে এটা করোনা চিকিত্সার কোনও নতুন মডেল নয়। এটা চিকিত্সা প্রক্রিয়াকে আরও কয়েকধাপ উন্নত করার চেষ্টা, বলছেন চিকিত্সক অনির্বাণ দলুই। তিনি নিজেও এই উদ্যোগের অংশ। ডাঃ দলুই বলছেন “করোনা লড়াইয়ে সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত চিকিত্সকরা একযোগে কাজ না করলে এই কঠিন লড়াই সম্ভব নয়।”
তবে জেনে নেওয়া যাক এই নতুন পদক্ষেপে কী সুবিধা পাবেন করোনা রোগীরা। ডাঃ দলুই জানান, হোম আইসোলেশনে থাকা প্রতিটি রোগী চিকিত্সকের পরামর্শ পাবেন। স্বাস্থ্যভবন বা পুরসভা থেকে রোগীকে ফোন করা হলে, তিনি নিজের পছন্দের চিকিত্সকের কথা জানাতে পারেন। তখন সেই চিকিত্সকের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হবে। যদি আগে থেকে তাঁর অধীনে চিকিত্সা করাতে থাকেন রোগী, তাহলে সেই তথ্য নথিভুক্ত হবে।
এছাড়াও এই মডেলে রোগী সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণে থাকবেন। এবং ঘরে আলাদাভাবে থাকাকালীন তিনি শারীরিকভাবে অস্থিরবোধ করলে, চিকিত্সকের পরামর্শে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করা হবে। সেক্ষেত্রে চিকিত্সক সরাসরি রোগীর বিষয় জানিয়ে দেবেন আইএমএ’কে (IMA) এবং আইএমএ স্বাস্থ্যভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করবে। কীভাবে একযোগ এই কাজ করবেন চিকিত্সকরা, তারই এক অনলাইন প্রশিক্ষণ করানো হয়েছে রাজ্যে। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত চিকিত্সকরা পাচ্ছেন স্বাস্থ্যভবন এবং আইএমএ স্বাক্ষরিত কোভিড ট্রেনিং শংসাপত্র। এবং সাধারণ মানুষ পাবেন সঠিক সময়ে সঠিক চিকিত্সা বলছে IMA।