দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: করোনা মুক্তির ওষুধ না ব্যবসায়িক গিমিক সে প্রশ্নে না গিয়ে আপাতত গৌতম বাবুর রসগোল্লাতে মেতে কৃষ্ণনগর। নদিয়ার কৃষ্ণনগরে এখন দেদার বিকোচ্ছে ‘ইম্যুনিটি রসগোল্লা’। মানুষ খাচ্ছে, সাহস তৈরি করছে করোনা’র বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্যে যা এক কথায় নদিয়ার মানুষের কাছে ‘আশ্চর্য পথ্য’ বই কম কিছু নয়। কী আছে সেই রসগোল্লাতে?
আয়ুর্বেদিক চর্চার পীঠস্থান ভারতবর্ষ সেই আদিম সময় থেকেই দেবদাস ধন্বন্তরি, চড়ক,সুশ্রুত, চিরঞ্জিব নামক খ্যাতনামা আয়ুর্বেদিক বৈদ্য’র হাতের গুণে বিশ্বজনীন খ্যাতি পেয়েছে। এমনকি সে কথা মেনে নিয়ে বর্তমানে আমেরিকাও ভারতের সাথে একযোগে আয়ুর্বেদ নিয়ে গবেষণা করতে রাজি। আর ঠিক এই সময়ে যখন করোনা নিয়ে মানুষ শঙ্কিত, তখন কৃষ্ণনগরের বনৌষধি রসগোল্লা আসার আলো, ভরসার প্রশ্বাস নিতে সাহায্য করছে!


‘বনৌষধি রসগোল্লা’ বা সন্দেশ দেদার বিকোচ্ছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। আর নেপথ্যে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী গৌতম দাস। তিনি আমাদের ঘরোয়া হলুদ ,দারুচিনি ,লবঙ্গ, গোলমরিচ সহ বিভিন্ন ইম্যুনিটি বর্ধক ভেষজ দ্রব্যাদির বিশেষ রেসিপির সহায়তাতে তৈরি করে ফেলেছেন রসগোল্লা এবং সন্দেশ। আর তার নাম দিয়েছেন ইম্যুনিটি রসগোল্লা। তাঁর সেই রসগোল্লা মানুষের এতই পছন্দ সকলেই পাত্র ভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছেন।
এই যেমন এক ক্রেতা সেই রসগোল্লা খেতে খেতে রস ভর্তি মুখ নিয়ে জানলেন “ভ্যাকসিন কবে বেরোবে জানিনা! আপাতত রসগোল্লা সন্দেশ খেয়ে নিই! এতেই লড়াই করার ক্ষমতা জন্মাবে”
তাঁর এই উদ্ভাবনী ভাবনার বাস্তব মিষ্টি নিয়ে মিষ্টান্ন প্রস্তুতকারক গৌতম দাস জানান, শরীরের ইম্যুনিটি বাড়াতে হলুদ, লবঙ্গ, দারুচিনি, গোলমরিস সহ আরও চেনা কিছু ঘরোয়া মসলা ও পথ্য রয়েছে যা আমরা প্রত্যেকেই জানি। কিন্তু জেনেও আমারা না জানার ভান করে বাজার চলতি কেমিক্যাল ওষুধ খাচ্ছি আর শরীরের ক্ষতি করছি। তাই নিজেদের ভালো থাকার সহজ কথা সহজভাবে না বুঝতে পারলে, তা একটু আধটু রসে চোবাতে হয়, বৈকি! আর সেই রসে চোবানো পথ্যই হল ‘বনৌষধি রসগোল্লা ও সন্দেশ’।