দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:যে বৈঠকের দিকে পাহাড় ও সমতল একযোগে প্রত্যাশায় ছিল সেই বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে জানালেন বিনয় তামাং। এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিনয় তামাংয়ের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক প্রায় আধঘন্টা ধরে হয়েছে। সেই বৈঠকে বিনয় ও মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও জিটিএ চেয়ারম্যান অনিত থাপা। ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে ছিলেন না বিমল গুরুং বা রোশন গিরি।
যদিও বৈঠক শেষে কোনও পক্ষই কোনও সাংবাদিক বৈঠক করেন নি। তবে সূত্রের খবর বিনয় তামাং জানিয়েছেন সে বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে। নবান্ন সূত্রে এটাও জানা গিয়েছে তামাং ও থাপাকে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে যে, পাহাড়ে প্রশাসনিক স্তরে তাঁদেরকে সরিয়ে দেওয়ার কোনও চিন্তাভাবনাই নেই রাজ্যের। এমনকি গুরুংয়ের বিরুদ্ধে কোনও মামলাও প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। তবে রাজ্য সরকার পাহাড়ে শান্তি চায়, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চায়। তাই বিনয় তামাং বা অনিত থাপারা এখন এমন কোনও পদক্ষেপ যেন না নেন যাতে পাহাড়ে কোন নতুন করে সমস্যার সৃষ্টি হয়।


যদিও এদিন নবান্নে বৈঠক শুরুর আগেই পাহাড়ে উষ্ণতা বাড়িয়ে দেয় গুরুং ও বিনয়পন্থীদের একের পর এক মিছিল ও বৈঠক। এতদিন পাহাড়ে এক চেটিয়া ভাবে গুরুংয়ের বিরুদ্ধে মিটিং-মিছিল করে যাচ্ছিল বিনয়পন্থীরা। এদিনও তাঁরা দার্জিলিং শহরের বিকে গুরুংয়ের বিরুদ্ধে মিছিল বার করে। কিন্তু এটাও ঘটনা যে এদিনই প্রথম মিরিকে পাল্টা মিছিল বার করে গুরুংপন্থীরা। এই মিরিকেই একক ভাবে পুরসভার ক্ষমতা দখল করেছিল তৃণমূল। তাও নির্বাচনে জয়ী হয়ে। পাহাড়ে সেটাই ছিল সমতলের কোনও রাজনৈতিক দলের ক্ষমতা দখলের ঘটনা।
কার্যত সেই ঘটনাই বিমলকে খেপিয়ে তুলেছিল। তারপরই ২০১৭ সালে পাহাড়ে জ্বলে ওঠে অশান্তির আগুন যাতে সাড়ে তিন মাস ধরে পাহাড়ে টানা বনধ চলেছে তাই নয়, ১৭জন বাসিন্দা সেখানে মারাও গিয়েছেন। আর এসবের জন্যই এখন গুরুংকে দায়ী করে তাঁর পাহাড়ে ফেরা ঠেকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিনয় তামাং ও অনিত থাপারা। যদিও এদিনের বৈঠকের পরে পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয় কিনা সে দিকেই নজর থাকবে।