দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: আজ, বুধবার রাজ্যে আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার জঙ্গলমহলে এক আদিবাসীর বাড়িতে সারবেন মধ্যাহ্নভোজন সারবেন অমিত শাহ। পরের দিন অর্থাত্ শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়েছে এক মতুয়া বাড়িতে। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ওই পরিবারগুলির নাম এখনই প্রকাশ্যে আনতে চাইছে না বিজেপি।
এদিকে, উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে দলিত তরুণীর ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় গোটা দেশেই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল বিজেপিকে। বাংলার বিজেপি নেতাদেরও অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। রাজনৈতিক মহলের মতে, সে কারণে বাংলায় এসেও দলিতদের প্রতি বার্তা দিতেই হয়তো বাঁকুড়ায় আদিবাসী পরিবারে মধ্যাহ্নভোজনের নির্ঘণ্ট। পশ্চিমাঞ্চলে আদিবাসী ভোটও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগেও অবশ্য বাংলায় এসে উত্তরবঙ্গে দলিত পরিবারে মধ্যাহ্নভোজন সেরেছিলেন অমিত।পরবর্তীকালে সেই দম্পতি অবশ্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে হেলিকপ্টারে রাজারহাট থেকে বাঁকুড়া যাবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে রবীন্দ্র ভবনে রাঢ়বঙ্গের সাংগঠনিক জেলাগুলির বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, লোকসভায় উদ্বাস্তুদের একটা বড় অংশের সমর্থন পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু এখন তাঁদের মনোভাব নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে বিজেপি। কারণ, নাগরিকত্ব আইন এখনও কার্যকরী হয়নি। প্রতিশ্রুতি মতো বিজেপি সরকার এখনও কোনও উদ্বাস্তুকে নাগরিকত্ব দিতে পারেনি।
বাংলার উদ্বাস্তু অধ্যুষিত এলাকার বিজেপি নেতারা একাধিক বার এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন দলের অন্দরে। বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর অমিত শাহকে পর্যন্ত চিঠি দিয়েছেন। বিধানসভা ভোটে যাতে তার কোনও প্রভাব না পরে তারই চেষ্টা করছে বিজেপি। উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই সিএএ কার্যকর হবে বলে পুজোর আগে উত্তরবঙ্গ সফরে এসে বলে গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।
কাল বিকেলে তাঁর কলকাতা ফেরার কথা। শুক্রবার সকালে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে যাওয়ার কথা শাহের। সেখান থেকে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর বাড়ি যাবেন তিনি। সেখানে তাঁর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতা সারবেন। এরপর তিনি যাবেন বিধাননগরের ইজেডসিসি-তে। সেখানে অমিত শাহ কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলির দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন।