দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: দীপাবলিতে আতশবাজি সহ শব্দবাজি ও ধোঁয়া তৈরি হয় এমন বাজি পোড়ানোতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার জন্যে হাইকোর্টে একাধিক জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। এরই মধ্যে হাইকোর্টের রায় ঘোষণার আগেই বাজি ব্যবসায়ী সংগঠন এর সঙ্গে কাল বৈঠকে বসছে রাজ্য।
নবান্নে এই বৈঠকে রাজ্যের পক্ষে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মুখ্য ও স্বরাষ্ট্র সচিব। পশ্চিমবঙ্গ বাজি শিল্প উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায়। উল্লেখ্য, আজ বেলা ১২ টায় মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেন বাবলা রায়। সেই চিঠির বয়ানে ৩১ লক্ষ মানুষের জীবন ও জীবিকা সংশয়ের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, এই চিঠির প্রতিক্রিয়া স্বরূপ বেলা সাড়ে তিনটের সময় নবান্ন থেকে বাবলা রায়ের কাছে ফোন পৌঁছায়। তাঁর সাথে মুখ্যসচিব আলাপন ব্যানার্জি কিছুক্ষণ কথা বলার পর ফোনে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য আগামিকাল বাবলা রায়কে নবান্নে ডেকে পাঠিয়েছেন।
এখনো অবধি সূত্র মারফত যা যা জানা গিয়েছে বা যে যে আর্জি রাজ্যের কাছে করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে-
১) ১৪ ও ১৫ নভেম্বর রাত ৮ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত অর্থাত্ মোট ২ ঘণ্টা করে রাজ্যে বাজি পোড়ানোর অনুমতি দেওয়া হোক।
২) ৩১ লক্ষ বাজি শিল্পী ও বিক্রেতার মধ্যে যাঁরা সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত, অর্থাত্ দমকল, পরিবেশ সহ অন্যান্য ৬ টি সরকারি দফতর দ্বারা স্বীকৃত, সেই ৫৩ হাজার ব্যবসায়ীকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপুরণ দেওয়া হোক ।
অন্যদিকে রাজ্যের পাল্টা শর্ত থাকতে পারে
১) চাইনিজ বাজি নয়
২) বেশি ধোঁয়া হয় এমন বাজি নয়, যেমন সাপ বাজি, ইলেকট্রিক তার, রং মশাল।
৩) গ্রিন ( কম দূষণের বাজিই শুধুমাত্র বিক্রি করা যাবে। )
৪) শব্দ বাজি সহ আতশবাজি সম্পুর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
এই শর্ত, আর পাল্টা শর্তের চক্রে এই মানুষগুলোর জীবন ও জীবিকার কপালে কী লেখা আছে সেটা কালকের বৈঠকের পরেই পরিষ্কার হবে। সেই সাথে হাইকোর্টের শুনানির দিকেও নজর থাকবে। করোন হাইকোর্ট যা বলবে সেটাই মেনে চলবে রাজ্য ও সাধারণ নাগরিক।