দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: পুজোর আগে থেকেই সেই যে সবজি’র দাম আকাশের দিকে ক্রমঊড্ডীয়মান, তার উড়ান আর থামছে না। আলুর দাম গত দু একদিন আগেও যেখানে ৩৬-৩৮ এ ছিল, আজ সেটাই ৪০। চন্দ্রমুখী ৪৫। আলু প্রিয় বাঙালি’র হেঁসেলে আলু সেদ্দ থেকে আলুভাজা, মাছে আলু তো মাংসে আলু, নিরামিসে আলু তো চপে আলু। এই আলুর এই যে সর্বপদে পদার্পণ সেটা এই মূহুর্তে যথেষ্ট ঝুঁকি পূর্ণ। পাইকারী বিক্রেতাদের মতে এই দাম ৫০ ছুঁয়ে ফেললে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
আলুর সাথে যোগ্য সঙ্গত দিয়ে পেঁয়াজও তার দামের বোঝা কাঁধে নিয়ে ছুটছে। পেঁয়াজ ১০০ টাকা প্রতিকিলো। অথচ পেঁয়াজের যে যোগান খুব কম তাও নয়। এমনকি কেন্দ্র পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিদেশে রপ্তানিও বন্ধ করেছে, কিন্তু সারা ভারতবর্ষেই চিত্রটা একই রকম।
আলু পেঁয়াজের পাশাপাশি আজ আদা ২০০ টাকা প্রতিকিলো, কুমড়ো ৩০ টাকা প্রতিকিলো, ফুলকপি প্রতি পিস ৩০-৪০ টাকা। উচ্ছে ৮০ টাকা প্রতিকিলো, পটল – ৫০-৮০ টাকা প্রতিকিলো, ঢেঁড়স – ৫০-৭০ টাকা প্রতিকিলো বেগুন – ৫০-৬০-৮০ টাকা প্রতিকিলো, টমেটো ৬০ টাকা প্রতি কিলো, লঙ্কা ১৫০-২০০ টাকা প্রতিকিলো, গাজর ৬০ টাকা প্রতিকিলো, বাঁধাকপি – ৪০-৫০ টাকা কিলো।
এবার দেখে নিন পাইকারী দাম কত। কেনইবা টাস্কফোর্সের প্রয়োজন। চাষীদের কাছ থেকে আলু কেনার মূল্য জ্যোতি আলু ১৬-১৭ টাকা প্রতিকিলো, পেঁয়াজ ১৫ টাকা প্রতিকিলো, আদা ৭০ টাকা প্রতিকিলো, কুমড়ো ১০ টাকা প্রতিকিলো, উচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা প্রতিকিলো, ঝিঙে ২০ টাকা প্রতিকিলো, বেগুন ১৫ টাকা প্রতিকিলো, টমেটো ২০ টাকা প্রতিকিলো, লঙ্কা ২৫-৩০ টাকা প্রতিকিলো, গাজর ২০-২৫ টাকা প্রতিকিলো, বাধা কপি ১২ টাকা প্রতিকিলো, ফুল কপি প্রতি পিস ১০-২৩ টাকা, বরবটি ৩৫-৪০ টাকা প্রতিকিলো, করলা ২৮-৪০ প্রতিকিলো, লাউ ৮ টাকা প্রতিকিলো। পেপে ১২-১৫ টাকা প্রতিকিলো।
ওপরের চিত্রটা দেখলেই বুঝতে পারবেন, মধ্যখানে কিছু একটা ঘটছে। আর এই ঘটনার জন্যে টান পরছে, মধ্যবিত্তের পকেটে। এই সমাধান একমাত্র রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপেই সম্ভব। এখন লক্ষ্যনীয় এই যে লোকাল ট্রেন চললে এই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসে কিনা।