দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: কলকাতা হাইকোর্ট এর ডিভিশন বেঞ্চ দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোর মণ্ডপেও নো এন্ট্রির (NO ENTRY) নির্দেশ দিল। শুধু তাই নয় এই দুই পুজো ছাড়াও সারা রাজ্য জুড়ে কার্তিক পুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোর ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ বহাল থাকবে বলে এদিন জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে কালীপুজোতে মন্ডপ থাকলেও ছটপুজোয় কীভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যাবে তা নিয়ে শুনানি হবে ১০’ই নভেম্বর, মঙ্গলবার। কিন্তু হাইকোর্টও চায়, ছটপুজোর আয়োজন সুভাষ সরোবর ও রবীন্দ্র সরোবরে বন্ধ হোক।
আজ রাজ্য সরকারের ভূয়সী প্রশংসাও করেছে আদালত কারণ করোনা আবহে কলকাতা হাইকোর্টের ‘নো এন্ট্রি’ রায়ে বিধিনিষেধের মধ্যেই বেশ সুষ্ঠুভাবে দুর্গাপুজো পালন হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। আর তার জন্যই সংক্রমণ বেশি ছড়ায়নি। এবারের দুর্গাপুজোর বিধিনিষেধকে মডেল করেই আসন্ন কালীপুজো, দীপাবলি, কার্তিকপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো ও ছটপুজোকে বিধিনিয়মের আওতায় আনতে হাইকোর্টে এক জনস্বার্থ মামলা করেন অজয়কুমার দে। বৃহস্পতিবার ছিল তারই শুনানি।
আজ হাইকোর্টে শুনানি শেষে এদিন মামলকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানান, কালীপুজো, কার্তিক পুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজো এই চারটি পুজোর ক্ষেত্রে ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে নতুন নির্দেশ দিয়েছে আদালত। নির্দেশে বলা হয়েছে, যে সব পুজো মণ্ডপের আয়তন ১৫০ থেকে ৩০০ বর্গমিটারের মধ্যে, তার ৫ মিটার দূরে লাগাতে হবে নো এন্ট্রি বোর্ড। এই সমস্ত মণ্ডপের ভেতরে একসঙ্গে ১০ জন থাকতে পারবেন। আর এর থেকে বড় মণ্ডপের ভেতরে একসঙ্গে ৪৫ জন ঢুকতে পারবেন। তবে বড় মণ্ডপ থেকে কত দূরে নো এন্ট্রি বোর্ড থাকবে সেই সিদ্ধান্ত নেবে পুলিশ। মণ্ডপের ৫ মিটারের মধ্যে ঢাকিরা থাকতে পারবেন। কিন্তু কোনও দর্শনার্থী নির্দিষ্ট সীমারেখার মধ্যে আসতে পারবেন না। বিসর্জনও করতে হবে দুর্গাপুজোর মতো আড়ম্বরহীন এবং কোনও আলোকসজ্জা করা যাবে না। বাজি পোড়ানো নিষেধ।
কালীপুজোর দিনে কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর, তারাপীঠের মতো বিভিন্ন পীঠস্থানে বহু মানুষ পুজো দিতে যান। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় পুলিশকে নজরদারি চালাতে হবে বলে এদিন জানিয়েছে আদালত। সকলে মাস্ক পরেছে কিনা, সামাজিক দূরত্ববিধি মানা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। মন্দির চত্বরে স্যানিটাইজারের যথেষ্ট যোগান রাখতে হবে। পাশাপাশি থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে মন্দির কর্তৃপক্ষকে।