দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:অমিত শাহের বাংলা সফরের দিন প্রতীকী প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছিল প্রদেশ কংগ্রেস। দলিত উত্পীড়ণ বিরোধী দিবস উপলক্ষ্যে অবস্থান বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন অধীর চৌধুরী, প্রদীপ ভট্টাচার্য, আব্দুল মান্নানরা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন বাংলায় বিভাজনের রাজনীতিকে প্রতিষ্ঠা করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। তিনি এই দুই বিরোধী দল নেতা-নেত্রীর তীব্র সমালোচনা করলেন।
আজ ওই কর্মসূচির শেষে বিধান ভবনে অধীরবাবু একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি বলেন, “একদিকে বিজেপি পশ্চিমবাংলায় ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি করছে আর তৃণমূল তার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে। পদ্মফুল আর জোড়া ফুল মিলে বাংলায় প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতা চালাচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “বাংলায় অতীতে কখনও জাতপাতের নামে রাজনীতি ছিল না। কে ব্রাহ্মণ, কে কায়স্থ, কে ডোম এসব নিয়ে কেউ কথা বলত না। জাতপাতের রাজনীতি উত্তর ভারতের সংস্কৃতি ছিল। কে ঠাকুর, কে দলিত এই নিয়েই সেখানকার রাজনীতি চলে। কিন্তু বাংলায় এসব কখনও ছিল না। কারও জানার বাকি নেই এগুলো আমদানি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মুখ উনিও।”
আজ ওই সাংবাদিক বৈঠকে বহররমপুরের সাংসদ আরও বলেন যে , “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন প্রমাণ করতে চইছেন তিনি কত বড় হিন্দু। বিজেপির সঙ্গে হিন্দুত্বের কম্পিটিশন করছেন।” প্রসঙ্গত, গত লোকসভা ভোটেই টের পাওয়া গিয়েছিল যে বাংলায় ধর্মীয় মেরুকরণ কতটা তীব্র হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী নিজেই বলেছিলেন এবার ভোটটা পুরো হিন্দু-মুসলমান হয়েছে।
তবে অধীরবাবু এদিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল ও বিজেপি এই দুইটা শক্তির বিরুদ্ধে একুশের ভোটে লড়বে বাম-কংগ্রেস জোট। এবং সে লড়াই হবে সরকার গঠনের লক্ষ্যেই। আগামী ২৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি যে দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস তাকে সমর্থন করবে বলেও জানান প্রাক্তন রেল প্রতিমন্ত্রী।