দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ২০২১ রাজ্যে বিধানসভা ভোট। আর কর্মসংস্থানকেই পাখির চোখ হিসেবে ধরে এগোতে চাইছেনমুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকের পর এই রাজ্যে লক্ষ-লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা, ‘আগামী তিন বছরে এরাজ্যে ৩৫ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে’।
এই ৩৫ লক্ষ চাকুরীর মধ্যে মধ্যে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পে ১৫ লক্ষ সংস্থান হচ্ছে। তাছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ৫ লক্ষ চাকরির সম্ভাবনার কথাও বলেছেন তিনি। আর হ্যান্ডলুম এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে রাজারহাট নিউটাউনে ২০০ একর জমির উপর প্রস্তাবিত সিলিকন ভ্যালির কাজ খতিয়ে দেখতে তিনি শীঘ্রই পরিদর্শনেও যাবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
দুর্গোত্সব মিটতেই তড়িঘড়ি এই প্রশাসনিক বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল নবান্নের তরফে। এদিন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের করে তিনি এই সরকারি বৈঠক শুরু করেন।
ওই বৈঠকে ভার্চুয়ালি দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, বীরভূম সহ বেশ কয়েকটি জেলায় বাস টার্মিনাসের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে ১০টি আয়ুষ স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং তমলুকের নিমতৌড়িতে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রশাসনিক ভবনের দ্বারোদ্ঘাটন করেন তিনি।
এদিকে, গতকালের বৈঠকে প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে ব্যর্থ হওয়ায় বৈঠক থেকে দুর্গাপুর পুরসভার মেয়রকেও সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তাছাড়া প্রশাসনিক বৈঠকে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। বিশেষকরে পথশ্রী, মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে ভালো করে কাজ করার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, রাস্তা তৈরিতে প্রথম স্থান এই রাজ্যের। গত ৯ বছরে ৯ লক্ষ কিমি রাস্তা করা হয়েছে বলে তিনি জানান। আর এবার মাটির সৃষ্টির কাজে জেলায় জেলায় পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজে লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
তবে, গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর রোষের মুখে পড়েন পঞ্চায়েত দফতরের কর্তারা। লক্ষ্যমাত্রা পূরণের ব্যাপারে এই দফতরের পারফরম্যান্স সন্তোষজনক নয় বলে তার কাছে রিপোর্ট এসেছে। আধিকারিকদের সতর্ক করার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় ১০০ দিনের কাজের ব্যাপারে বিশেষ নজর দেওয়ার দিকে বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান যে ১০০ দিনের কাজে পশ্চিমবঙ্গ দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে আছে তবে উত্তরের কিছু জেলায় এই ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে কিছুটা ঘাটতি দেখতে পাওয়া গিয়েছে যেগুলোকে অতি সত্ত্বর নজরে আনার কথাও বলেছেন তিনি।