দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: করোনার ধাত সামলে উঠতে না উঠতেই, টান পড়লো মধ্যবিত্তের পকেটেও। একদিকে যেমন করোনার অতিমারির তেজ ,তেমনই অন্যদিকে তাল মিলিয়ে বেড়ে চলেছে নিত্য দিনের জিনিষের দাম। তাতেই চোখে সরষে ফুল দেখছেন আমজনতা। করোনায় দীর্ঘ লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ, সেই সঙ্গে দেশের জিডিপি ঠেকেছে তলানিতে। সবে মিলিয়ে বেড়েছে জিনিসপত্রের দাম। ক্রম মূল্যবৃদ্ধি থেকে বাদ যায়নি নিত্যদিনের সরষের তেল থেকে শুরু করে আলু, পেঁয়াজ, সবজী কোনোকিছুই। সবেরই দাম আকাশছোঁয়া।
সরষের তেলের কেজি প্রতি দেড়শ টাকার কাছাকাছি পৌঁছেছে, আলু কেজি প্রতি চল্লিশ টাকা, পেঁয়াজ আশি থেকে একশ। এমন এক পরিস্থিতিতে, করোনায় মানুষের সচেতনতা বাড়াতে ‘ ফ্রী অফার’ উদ্দ্যোগের সিদ্ধান্ত নিল পূর্ব বর্ধমানের মেমারির পাল্লা রোড পল্লী মঙ্গল সমিতি। করোনাবিধি মেনে পথ চলার সময়ে মুখে মাস্ক বা ফেস কভার থাকলেই মিলবে এক কিলো পেঁয়াজ। তাও ফ্রীতে। ইতিমধ্যেই বর্ধমানের বিভিন্ন অংশ ঘুরে এই উদ্দ্যোগের বাস্তবায়ন শুরু করেছে পল্লীমঙ্গল সমিতি ক্লাবের সদস্যরা।
উল্লেখ্য, জেলায় দৈনিক সংক্রমনের হার যেভাবে বাড়ছে তাকে হুঁশ ফিরছেনা মানুষের। তাই করোনায় মানুষকে সচেতন করতে এমন অভিনব উদ্দ্যোগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পল্লীমঙ্গল ক্লাবের সদস্যরা। অগ্নিমূল্যের বাজারে কেবল মাস্ক পড়লেই যদি বিনামূল্যে পেঁয়াজ মেলে তাহলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই মাস্ক পড়ায় সচেতন হবেন মানুষ। যাতে করোনার দৈনিক সংক্রমন অনেকাংশেই কমবে বলে মনে করছেন ক্লাবের সদস্যরা। পাশাপাশি বিনামূল্যে পেঁয়াজ উপহার পেয়েও খুশি হচ্ছেন স্হানীয় বাসিন্দারাও। কারণ এই পেঁয়াজ কোনো কোনো জেলায় দামে ‘সেঞ্চুরি’ ও হাঁকাচ্ছে।
তবে পল্লী মঙ্গল সমিতির এই বিনামূল্যে পেঁয়াজের অফার কিন্তু নতুন বিষয় নয় এর আগে যখন বাজারে গেলে দেড়শো টাকা কেজি দাম উঠেছিল পেঁয়াজের দাম। আর সেই পেঁয়াজই তারা দিয়েয়েছিল বিনা পয়সায়। শুধু মানতে হয়েছিল একটা ছোট্ট শর্ত। পথ সচেতনতায় সেবারও অভিনব উদ্যোগ নিয়েছিল বর্ধমানের এই সংগঠন। যে বাইক বা স্কুটার আরোহীরা হেলমেট পরে রাস্তায় বেরিয়েছেন, তাঁদের হাতেই বিনামূল্যে এক কেজি করে পেঁয়াজ তুলে দেওয়া হয়েছিল।