দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: এ বছরের নভেম্বরের শুরুতেই ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে -এ নেমে গেল কলকাতার তাপমাত্রা। হওয়া অফিসের মতে আগামী দু-তিন দিনে আরও নামবে পারদ। দিনের বেলাতে এখনও বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯০ শতাংশের বেশি। রাতে ও সকালে শীতের আমেজ এলেও দিনের বেলায় উধাও হচ্ছে ঠান্ডা ভাব। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় পারদ ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছে। মোট কথায় শীত এসে গিয়েছে বঙ্গে। আবহাওয়া অফিসের যা অনুমান এবার জমিয়েই ব্যাটিং করবে শীত।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯’শে নভেম্বর কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ২১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আগামী কয়েক দিনে আরও নিচে নামবে তাপমাত্রা, অনুমান আবহাওয়াবিদদের। আগামী তিন থেকে চার দিনে আরও ২-৩ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নামতে পারে পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলিতে যেমন পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডিগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ওড়িশাতে।
কলকাতা শীতের আমেজ পেলেও ভিন্ন ছবি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। সেখানে আগামী সোম-মঙ্গলবার নাগাদ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উড়িষ্যাতে ঘন কুয়াশা ও হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস। আগামী তিন-চার দিন দক্ষিণ-পূর্ব মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে এবং ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে বৃষ্টি হবে তামিলনাড়ু, পন্ডিচেরি, কেরালা, কর্ণাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা। শনিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস তামিলনাড়ুতে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সোম-মঙ্গলবার নাগাদ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। মৌসম ভবন এর পূর্বাভাস শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে রাজধানী দিল্লি, হরিয়ানা পাঞ্জাব এবং উত্তর রাজস্থানে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে,শনিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের ১ ডিগ্রি উপরে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের ২ ডিগ্রি নীচে। শহর ও শহরতলিতে, আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ- সর্বাধিক ৯৫ শতাংশ এবং ন্যুনতম ৩২ শতাংশ।
গতকাল অর্থাত্ শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের ১ ডিগ্রি উপরে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের ২ ডিগ্রি নীচে। শহর ও শহরতলিতে, আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ- সর্বাধিক ৯৩ শতাংশ এবং ন্যুনতম ৩০ শতাংশ। শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শহর ও শহরতলিতে, আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ- সর্বাধিক ৮৪ শতাংশ এবং ন্যুনতম ৩৪ শতাংশ। অন্যদিকে, শুষ্ক বায়ু প্রবেশ করতেই শহরে দূষণের মাত্রা বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। তবে সূত্রের খবর, কলকাতা থেকে শিলিগুড়িতে দূষণের মাত্র বেশি রেকর্ড করা হয়েছে।