দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে কলকাতা ও দিল্লিতে একযোগে তদন্ত শুরু করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI । সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই দিল্লি থেকে সিবিআই-এর একটি দল পশ্চিমবঙ্গে এসে পৌঁছেছে। পশ্চিমবঙ্গের তিন জেলায় পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা।
NIA তদন্তে উঠে এসেছে, বসিরহাট, মালদহ ও মুর্শিদাবাদ- এই তিন জেলার নাম । মূলত: এখান থেকেই চলত গরু পাচারের কারবার। সূত্রের খবর, এই তিন জেলাতেই আগেই পৌঁছেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন তাঁরা। এদিকে, আজ, শনিবারই গরু পাচার কাণ্ডে অন্যতম মূল অভিযুক্ত ধৃত এনামুলকে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। রাত ১০টার বিমানে কলকাতায় আনা হবে এনামুলকে।
সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ লাগোয়া বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচার করেই আর্থিক প্রতিপত্তি বাড়িয়েছে এনামুল। এই চক্রে তার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আরও অনেক প্রভাবশালী। সিবিআই সূত্রে খবর, বছর দুই আগে এই একই কেসে একবার এনামুলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বর্তমানে জামিনে ছিল সে।
গতকাল অর্থাত্ শুক্রবার ফের তাকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়। এনামুলের সূত্র ধরে মুর্শিদাবাদ ও বসিরহাটের সীমান্ত অঞ্চলে আজ তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআইয়ের একটি টিম। সূত্রের খবর, নজরে রয়েছে বসিরহাটের এক ব্যবসায়ী। অর্থাত্ সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান চক্রটি যথেষ্ট সক্রিয় বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
অন্যদিকে, দিল্লিতেও কলকাতার এক ব্যবসায়ীকে নজরবন্দি করে রেখেছে সিবিআই। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে গত ৫ তারিখ মানিকতলা সহ চার জায়গায় তল্লাশি চালাল চারটি দল। সিবিআইয়ের ২০ থেকে ২৫ জন অফিসার চারটি দলে ভাগ হয়ে সিআরপিএফ এর সহায়তাতে চার জায়গায় তল্লাশি চালান। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, গরু পাচারকাণ্ডের টাকা পৌঁছে যেত রাজ্যের ক্ষমতাসীন প্রভাবশালীদের হাতেও। এর থেকেও বড় সমস্যা এই গরু পাচার চক্রের বিপুল অঙ্কের টাকা সন্ত্রাসবাদীদের হাতে যাচ্ছে তাই গত সেপ্টেম্বরে দেশজুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে সিবিআই।