দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: মেরামতির ৩৬ ঘন্টা পরেও স্বাভাবিক নয় দুর্গাপুরের জল পরিষেবা। আর তা নিয়ে আজ মানুষের ক্ষোভ ফেটে পড়ল রাস্তায়। দফায় দফায় রাস্তা অবরোধ। তৃণমূল কাউন্সিলর বনাম বিজেপি নেতার ধস্তাধস্তি। আজ শনিবার সকাল থেকেই সাধারণ মানুষের জল নিয়ে ক্ষোভের কাছে কার্যত প্রায় অসহায় দুর্গাপুর প্রশাসন।
সমস্যার সমাধানে দুর্গাপুর নগর নিগমের পক্ষ থেকে দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার আশ্বাস দেওয়া হলেও ফের বিপত্তি দুর্গাপুর ব্যারেজে। আজ আবার ৩০ ও সদ্য মেরামতি করা ৩১ নম্বর লকগেটে ফাটল দেখা দিয়েছে। যেখান থেকে আবার বের হচ্ছে জল। এর ফলে ফের ‘জলাতঙ্ক’ শুরু হয়েছে দুর্গাপুরে।
সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাত্ শুক্রবার গভীর রাত থেকেই ব্যারেজের ৩০ ও ৩১ নম্বর লকগেটে ফাটল দেখা দেয়। আর আজ শনিবার সকালেই তা নজরে আসে সেচদপ্তরের কর্মীদের। গত দিনের বিপর্যয়ের সময় দামোদরের জল শুকোতে লকগেট খোলা হয়েছিল। সেই গেট ভাল করে না বসার ফলেই ফাটল।
সেচ দপ্তর সূত্রে খবর ওই লকগেটের একদম নিচে পুরু রবারের বেল্ট নষ্ট হয়ে যাওয়ার জন্যেই ৩০ ও ৩১ নম্বর গেট দিয়ে জল বেরচ্ছে। ক্রমাগত জল বেরনোর ফলে জলাধারে জলও কমছে। যদিও শনিবার সকাল থেকেই এই নতুন তৈরি হওয়া ফাটলের অংশে পাট ও বালি দিয়ে ভরাট করার চেষ্টা চালিয়েছে সেচ দপ্তরের কর্মীরা।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দামোদর হেড ওয়ার্কসের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় সিং জানান,’সামান্য ফাটল হয়েছে। এটা স্বাভাবিক ঘটনা। উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। দ্রুত মেরামতির কাজ চলছে।’ অন্যদিকে, নিউটাউনশিপ থানার বিধাননগর হাউসিং এলাকার বাসিন্দারা জল না পেয়ে রাস্তা অবরোধ শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, সাত দিন পরেও সমস্ত জায়গায় পানীয় জল এলেও এই এলাকায় কেন আসেনি? দ্রুত পানীয় জল সরবারহের দাবিতে শুরু হয় বিক্ষোভ। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সামনের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে নামেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পথ অবরোধের খবর পেয়ে আসে পুলিশও। এর পাশাপাশি ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দীপঙ্কর লাহাও ঘটনাস্থলে আসেন। অবরোধকারীদের বোঝাতে গেলে সেখানে হাজির হন বিজেপি নেতা দেবাশিস রায়। তিনিও অবরোধে শামিল হন। শুরু হয়ে যায় দু’পক্ষের বচসা।
এই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্তি বলেন, ‘ জল না পেয়ে মানুষের ক্ষোভ স্বাভাবিক। শুকনো ক্যানেলে জল এসে তা পাম্প করে ও পরিস্রুত করে পাঠাতে পাঠাতে সময় লাগবেই। ধীরে ধীরে নিগমের প্রতিটি ওয়ার্ডেই জল পাঠানো হচ্ছে।’
